রাজ্য বিধানসভা বাজেটে এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভাতা বাড়ল ১০০০ টাকা। অর্থাৎ আগে যা বেতন বাবদ পেতেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার এবার তার থেকে ১ হাজার টাকা বেশি পাবেন। তার জন্য ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। এখন থেকে রাজ্য পুলিশের ২০ শতাংশ চাকরি সংরক্ষিত থাকবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য। যা এত দিন ১০ শতাংশ ছিল। এই ঘোষণা করে অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কার্যত জোড়া সুখবর দিলেন।
বছরের শুরুতেই নবান্নের তরফে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এ বার থেকে প্রত্যেকে ৫,৩০০ টাকা করে বোনাস পাবেন। আগে ২০০০ টাকা করে বোনাস পেতেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিয়ম চালু হয়েছিল। ২০২৩ সালের পুজোতেও সিভিক ভলান্টিয়াররা ওই বোনাস পেয়েছেন। চলতি বছর থেকে সেই বোনাসের অঙ্ক বৃদ্ধি করা হয়।
যাঁরা পুজোয় ২০০০ টাকা বোনাস পেয়েছেন, তাঁরা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য আরও ৩,৩০০ টাকা অতিরিক্ত বোনাস হিসাবে পাবেন। এ বার তাঁদের ভাতাও বৃদ্ধি করা হল। এই মুহূর্তে রাজ্যে দুই লক্ষাধিক সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। তাঁরা পুলিশের কাজে সহায়তা করেন। বিশেষ করে এলাকায় টহল দেওয়া, ট্রাফিক সামলানোর কাজ মূলত এখন সিভিক ভলান্টিয়াররাই করে থাকেন। তবে হাই কোর্টের নির্দেশে এখন আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও বিষয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো যায় না।
সিভিক ভলান্টিয়ার বা গ্রিন পুলিশ বা ভিলেজ পুলিশ-সহ যে সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা অবসরকালীন সুবিধা হিসাবে ২ লক্ষ টাকা অথবা ৩ লক্ষ টাকা পাওয়ার যোগ্য, তাদের সেই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।একইসঙ্গে চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি কর্মীদের মাসিক পারিশ্রমিক যথাক্রমে ৩ হাজার টাকা ও সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। ২৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এর জন্য। অন্যদিকে মিডডে মিলের রাঁধুনিদের মাসিক ভাতাও বাড়ানো হয়েছে। ১ হাজার টাকা থেকে তা বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা করা হয়েছে।