রামপুরহাটে ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিল রাজ্য। এই তদন্তকারী দলে রয়েছেন এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহ। এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিং এবং জিআইজি সিআইডি (অপারেশন) মিরাজ খালিদ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে রামপুরহাটের ওসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে।অপসারিত করা হয়েছে এসডিপিও সায়ন আহমেদকে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তের কাজে তদারকি করছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। এই মুহূর্তে ব্যাপক উত্তেজনা রামপুরহাটের ১ নং ব্লকের বগটুই গ্রামে। রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে জোরকদমে।
বগটুই গ্রামে অগ্নিসংযোগে এতজনের মৃত্যুর খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসে নবান্ন (Nabanna)। সবরকমভাবে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন কর্তারা। নবান্নে সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি জরুরি বৈঠক করেন। গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয় নবান্নের তরফে। এর পরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) রামপুরহাটে রওনা দেন। তাঁর সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন জেলার তিন তৃণমূল বিধায়ক। ADG, CID জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে সিট। সেই টিমে রয়েছেন দুই আইপিএস মিরাজ খালিদ ও সঞ্জয় সিং। তবে তদন্তের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওসি ও এসডিপিওকে সরানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দোল পূর্ণিমায় মমতার রেখে যাওয়া বিগ্রহের অভিষেক হল মায়াপুর ইসকন মন্দিরে
সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। এর পর সোমবার রাতেই বগটুই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ১০টি বাড়িতে আগুন লাগে। এই ঘটনায় দমকল ১০ জনের মৃত্যু হওয়ার কথা নিশ্চিত করলেও পুলিশের দাবি মৃত্যু হয়েছে সাত জনের।
এদিকে ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হলেও তৃণমূলের (TMC) মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তাঁর বক্তব্য, উপপ্রধান ভাদু শেখের হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, তবে আজকের অগ্নিকাণ্ডে এতজনের মৃত্যু একেবারেই রাজনৈতিক নয়।
1/3: রামপুরহাটে আগুনে মৃত্যু।
দুঃখের। অবাঞ্ছিত।
কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। স্থানীয় গ্রাম্য বিবাদ।
এর আগের দিন তৃণমূল উপপ্রধানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।
তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।
গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।
রাতে আগুনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, দমকল ব্যবস্থা নিয়েছে।
More— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 22, 2022
বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য এতজনের মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে দায়ী করে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন। সিপিএম (CPM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, ওই এলাকায় বালিখাদান, কয়লাখাদানে লুটের টাকার ভাগ নিয়ে বচসা, তার জেরে এই গণহত্যা।
আরও পড়ুন: বছর খানেক আগে খুন করা হয় ভাদুর ভাই বাবরকেও, পুলিশের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন সদ্য পুত্রহারা মা