গত লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর নিয়ে এসেছিলেন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছিল। তার পর একুশের নির্বাচনে বিরাট জয়ের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একাধিক ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে। পুলিশ-প্রশাসনের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। বগটুই কাণ্ডে মুখ পুড়েছে শাসকদল তৃণমূলের। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনতে ফের ‘দিদিকে বলো’র মতো কর্মসূচি আনার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
রবিবার শিলিগুড়িতে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে মমতার ঘোষণা, “আমি ২ মাস সময় নেব। তার পর যদি কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, কারও বিরুদ্ধে খুনখারাপির অভিযোগ থাকে, অত্যাচারের অভিযোগ থাকে, আমি আর একটা সেট আপ তৈরি করব। যেমনটা আমি করেছিলাম ‘দিদিকে বলো’, সেইরকম। এই নামটা আমি এখনই বলছি না। আমরা ঠিক করে আপনাদের জানাব।”
‘দিদিকে বলো’র মতো ওই গ্রিভ্যান্স সেলে সাধারণ মানুষ কী ভাবে অভিযোগ জানাতে পারবেন তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘একটা মিসড কল দেবেন। আপনার নাম করে বলবেন যে আপনি কী চাইছেন বা কোথায় কী ঘটছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি অ্যাকশন নেব। সে অফিসারই হোক, সে কোনও রাজনৈতিক দলই হোক, সে কোনও সাংবাদিকই হোক, সে কোনও বাইরের লোকই হোক। সে কোনও দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টাই হোক, সে কোনও ষড়যন্ত্র করার চেষ্টাই হোক।’’
তিনি আরও জানান, কারও তথ্যের ভিত্তিতে অন্যায় দমন করে দুষ্কৃতী ধরা পড়লে তাঁকে পুরস্কৃতও করা হবে। আগামী ২ মাসের মধ্যে এই নতুন প্রকল্প চালু করার কথা, নাম এবং কার্যপদ্ধতি ঠিক হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্পের সাফল্য দেখে রাজ্যে আরও দুটি প্রকল্প শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী – ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’। এই দুটির মাধ্যমে জনপরিষেবা প্রদানের কাজ এগিয়েছে অনেকটা। তবে এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব দিলেন সাধারণ মানুষের উপর। কোথাও কোনও গন্ডগোল দেখলেই নতুন ওই প্রকল্পের মাধ্যমে অভিযোগ নথিভুক্ত করার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।