রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ভাগ্নির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। আজ সকালে খড়গপুরের কোয়ার্টার থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত তরুণীর নাম স্বাগতা ভট্টাচার্য। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তাঁর কর্মস্থলে কোনও সমস্যা হচ্ছিল কিনা তা জানার জন্য পুলিশ অন্যান্য চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের রথনালি এলাকায় স্বাগতার বাড়ি। কলকাতার পিজি হাসপাতালে তিন বছর কাজ করার পর সম্প্রতিই খড়্গপুরে এসেছিলেন তিনি। আইআইটির কোয়ার্টারে মা তপতী ভট্টাচার্যকে নিয়ে থাকতেন স্বাগতা। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে বাজারে গিয়েছিলেন তপতী। ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজা ভিতর থেকে লাগানো। বহু বার ডাকাডাকিও করেন মেয়েকে। সাড়া না পেয়ে ফোনও করেছিলেন। স্বাগতা ফোন না তোলায় পড়শিদের ডেকে আনেন তপতী। খবর দেওয়া হয় ক্যাম্পাস চত্বরের হিজলি ফাঁড়িতেও। এর পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় স্বাগতার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: Alia University: আলিয়াতেও রাজ্যপালকে সরিয়ে আচার্য মুখ্যমন্ত্রী! বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পেশ বিল
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে স্বাগতার বিয়ে হয়েছিল। তবে দাম্পত্য জীবন খুব বেশি স্থায়ী হয়নি। ৬ মাস আগে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। গত নভেম্বরে আইআইটিতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
ভাগ্নির মৃত্যুর খবর পেয়ে এদিন খড়্গপুরের কোয়ার্টারে ছুটে যান মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। মানসিক অবসাদের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস ধরে ওর মানসিক অবসাদ ছিল। তবে এরকম করে ফেলবে তা ভাবতে পারিনি।’ প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত জীবনে স্বাগতার সমস্যা ছিল। কর্মজীবনের কোনও সমস্যা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ২০২৪-এর আগে ললিপপ! ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে ফের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর