ভিনরাজ্যে পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বাংলার তরুণীর। দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা দিয়া মণ্ডল। দুবছর আগে বেঙ্গালুরুতে নার্সিং ট্রেনিং নিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই হস্টেলের কামরায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়।
মৃতার নাম দিয়া মণ্ডল। বয়স ২০ বছর। তিনি কাঁকসার গোপালপুরের সত্যনারায়ণ পল্লীর বাসিন্দা। দু’বছর আগে বেঙ্গালুরুতে মাদার টেরেসা গ্রুপ অফ ইন্সটিটিউশনে নার্সিং পড়তে গিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় কাঁকসার বাড়িতে ফোনটি আসে। ফোন করেন দিয়ার এক সহপাঠী। তিনিই পরিবারকে দিয়ার আত্মহত্যার কথা জানান। হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। এক মাত্র কন্যাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েন দেবাশিস মণ্ডল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধে ছটার সময় মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল দিয়ার। পরে এক বন্ধুর সঙ্গেও তাঁর কথা হয়।এর কয়েক ঘণ্টা পর বাড়িতে ফোন আসে দিয়া মারা গিয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার।
দেবাশিস জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে শান্ত স্বভাবের ছিলেন। প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন তরুণী। রান্নার কাজ করে মেয়েকে পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছিলেন। রবিবার সকালে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা দেন দেবাশিস। দেবাশিস জানিয়েছেন, মেয়ের দেহ ঘরে ফিরিয়ে আনার মতো সামর্থ্য তাঁর নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তবে মেয়ের দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর ওই কলেজেই বর্ধমানের আউশগ্রামের বাসিন্দা রাহুল নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ওই তরুণীর। ওই যুবক দিয়াকে পছন্দ করত। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাই তরুণীকে বিরক্ত করত ওই যুবক। এই রহস্যমৃত্যুর পেছনে ওই যুবকের হাত থাকতে পারে বলেই মৃত তরুণীর পরিবার সন্দেহ করছে।