প্রয়াত হলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যান পালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুব্রত সাহা (Subrata Saha)। আজ, বৃহস্পতিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সম্প্রতি গলব্লাডার অপারেশন হয় তাঁর। কলকাতায় ছিল বেশ কয়েকদিন। সুস্থ হয়ে বুধবারই মুর্শিদাবাদে ফেরেন। ঠিকঠাকই ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন মন্ত্রী। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তড়িঘড়ি তাঁকে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় চিকিৎসা। তাতেও শেষরক্ষা হল না। ওই হাসপাতালেই প্রাণ হারান মন্ত্রী সুব্রত সাহা।
২০১১ সালে সাগরদিঘি থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুব্রত সাহা। টানা ৩ বার ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন তিনি। সুব্রতের মৃত্যুতে শোকের ছায়া জেলার রাজনৈতিক মহলে। এক সময় কংগ্রেসে ছিলেন তিনি। পরে তিনি যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। সুব্রতর প্রয়াণে শোকবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি লেখেন, ‘‘রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে বহরমপুরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘির ৩ বারের বিধায়ক সুব্রতবাবু পূর্ত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি, বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। সুব্রতবাবুর সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তাঁর রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সুব্রত সাহার প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি সুব্রত সাহার পরিবার-পরিজন এবং অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’
রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। আচমকা সুব্রতবাবুর মৃত্যুর মতো কঠিন বাস্তবকে মানতে পারছেন না কেউই। রাজ্যের মন্ত্রীর প্রয়াণে চোখের জলে ভাসছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহলও।
আরও পড়ুন: Vande Bharat: বন্দে ভারতের উদ্বোধনে আসছেন মোদী, হাওড়ার ৩ প্ল্যাটফর্মে ৩৮ ঘণ্টা চলবে না ট্রেন,