মুর্শিদাবাদের বহরমপুর গার্লস কলেজের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনের ঘটনার ২০ দিন পর মেস বাড়ি থেকে মেয়ের শেষ স্মৃতিটুকু বাড়ি নিয়ে গেলেন বাবা স্বাধীন চৌধুরী।
বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় শহিদ সূর্য সেন রোডের এই মেসে থেকেই কলেজের পড়াশোনা করতেন সুতপা। এত দিন পর্যন্ত সুতপার সমস্ত জিনিসপত্র এই মেসেই রাখা ছিল। ঘটনার তদন্তের জন্য এতদিন ওই সমস্ত জিনিসপত্র বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে পুলিশের কাছে অনুমতি মিলতেই রবিবার মেয়ের ব্যবহার করা সমস্ত জিনিস বাড়ি নিয়ে চলে যান স্বাধীন।
রবিবার দুপুরে মেসে আসেন সুতপার বাবা এবং তাঁর মামা। মেসের ঘরে সুতপার ব্যবহৃত বইখাতা, বিছানাপত্র-সহ অন্যান্য সামগ্রী একটি গাড়িতে তুলে নেন তাঁরা। বাড়ি ফেরার সময়ও সুতপার বাবার কণ্ঠে আক্ষেপের সুর। তাঁর কথায়, ‘‘কখনও ভাবিনি মেয়ের ব্যবহৃত জিনিসপত্র স্মৃতি হিসেবে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মেয়েটাকে তো নিয়ে যেতে পারলাম না… অন্তত স্মৃতিটুকু থাক।’’
প্রসঙ্গত, ২ মে ভরসন্ধ্যায় গোরাবাজার এলাকায় এই মেসের সামনেই নৃশংস ভাবে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা। তাঁকে খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে সমশেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর থেকে কয়েক দফা পুলিশি হেফাজত হয়েছে সুশান্তর। আপাততর বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জেল হেফাজতে রয়েছে সে।
প্রথমে সুশান্তর সঙ্গে সম্পর্কের কথা মেনে নিতে চায়নি সুতপার পরিবার। দিন কয়েক আগে নেটমাধ্যমে সুতপার সঙ্গে তার বেশ কিছু ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ছড়িয়ে পড়ে। তারপর অবশ্য সুশান্তর সঙ্গে সুতপার সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী। তবে তা অনেক পুরনো বলেও তিনি দাবি করেছিলেন। সুতপার বাবা দাবি করেছিলেন, সুশান্তর আচরণ মোটেই ভালো ছিল না। তাই তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছিল সুতপা।