দল বদলে তৃণমূলে নয়, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক রয়েছেন বিজেপিতেই। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের অভিযোগ খারিজ করে এই রায় দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৭ সালের নভেম্বরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) তৎকালীন সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। কিছুদিন পর তাঁর ছেলে শুভ্রাংশুও দলবদল করেন। ২০২০ সালে দলের হয়ে ভাল কাজ করার পুরস্কার হিসেবে বিজেপিতে (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান মুকুল। একুশের বিধানসভা ভোটে প্রায় প্রচার ছাড়াই কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জেতেন মুকুল রায়।
সাড়ে ৩ বছরের ব্যবধানে ফের পুরনো দলে ফেরেন তিনি। সপুত্র ঘাসফুল শিবিরে ফেরেন মুকুল রায়। ‘ঘরের ছেলে’কে স্বাগত জানান খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুকুলকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
আরও পড়ুন: বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেমের মাশুল! স্ত্রীকে ছোড়া গুলিতে প্রাণ গেল প্রেমিকার
এরপরই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সরব হয় বিজেপি। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাই কোর্টে মামলা করেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে শুনানিতে আগেই মুকুল রায়ের আইনজীবী সায়ন্তক দাস (Sayantak Das) দাবি করেছিলেন, মুকুল রায় দলবদল করেননি। শুক্রবার একই কথা জানালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
শুক্রবার ঘোষণার সময় স্পিকার বললেন, ‘‘দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের যে আবেদন করা হয়েছে, তার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। তা নজরে রেখেই ওই আবেদন খারিজ করা হল। মুকুল রায় বর্তমানে বিজেপি-তেই আছেন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না।’’
আরও পড়ুন: বার বার বিতর্কিত মন্তব্যর জেরে বিরক্ত দল, শাস্তির মুখে পড়তে পারেন Madan Mitra