আপনি দোকান থেকে যে মদ কিনছেন, সেটি আসল মদ তো? এবার তা যাচাই করা জন্য মদের দোকানে থাকবে ‘কথা বলা পেন’। রাজ্যের সব লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানকে এই ‘কথা বলা পেন’ দ্রুত কিনে ফেলতে বলা হয়েছে। এই মর্মে রাজ্য আবগারি দফতরের থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। সরস্বতী প্রেস থেকে এই বিশেষ ধরনের পেন কিনতে পারবেন মদ বিক্রেতারা। তার জন্য অগ্রিম টাকা জমা করতে হবে। এক একটি ‘কথা বলা পেনের’ দাম তিন হাজার টাকা।
এখন রাজ্যে মদের ডিস্ট্রিবিউটরেরা সরকারি সংস্থা ‘বেভকো’র মাধ্যমে খুচরো বিক্রেতাদের কাছে বোতল পৌঁছে দেয়। কিন্তু এর পরেও অনেক দোকানদার খোলাবাজার থেকে মদ কেনেন বলে অভিযোগ। আবগারি দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, সেই সব মদের গুণমান অনেক সময়েই ঠিক থাকে না। ফলে ক্রেতারা ঠকে যান। এটা আটকাতেই এই পদ্ধতি। তিনি বলেন, ‘‘নকল মদের কারবারিরা বোতল থেকে লেবেল— সবই এমন ভাবে বানায় যে, তা দেখে ‘নকল’ বোঝার উপায় থাকে না। বাক্স থেকে ছিপি— নামী ব্র্যান্ডের মতো হুবহু এক। তবে ঝাঁজ, গন্ধ, স্বাদ আলাদা হয়। কিন্তু ক্রেতারা সেটা বুঝতে পারেন বোতল খুলে ফেলার পরে। এখন আগে থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট করার উপায় তৈরি হল।’’
আরও পড়ুন: Heavy Rain Alert: দক্ষিণবঙ্গে অবশেষে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, কবে থেকে বদলাবে আবহাওয়া?
‘সরস্বতী প্রেস’ রাজ্য সরকারের মুদ্রণ সংক্রান্ত কাজ করে। তারাই কি এই কলম তৈরি করেছে? আবগারি দফতরের ওই কর্তা জানিয়েছেন, কলমটি অন্য একটি সংস্থার থেকে কেনার পরে সরস্বতী প্রেসে আসছে। সেখানে কলমের গায়ে আবগারি দফতরের নাম মুদ্রিত হওয়ার পরে তা বিক্রি করা হবে।
খুচরো বিক্রেতাদের পাঠানো নির্দেশে এই কলমের বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার সম্পর্কেও জানিয়েছে আবগারি দফতর। তাতে বলা হয়েছে, এই কলমটি ইংরেজিতে জানাবে মদ খাঁটি কি না। ভাষা বদল করা যাবে না। কলমটি ইউএসবি কেবলের মাধ্যমে চার্জ দিতে হবে। এ জন্য কলমের সঙ্গে একটি টাইপ-সি চার্জিং কেবলও দেওয়া হবে। কলমের গায়ে অন, অফ, শব্দ বাড়ানো-কমানোর বোতাম রয়েছে। কলমের মধ্যেই একটি স্পিকার এবং এলইডি আলো আছে। ক্রেতাদের সুবিধার জন্য আলাদা স্পিকার লাগানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। কলমটি ব্যবহার না করা হলে ১০ মিনিট পর তা আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। পরে সেটি ফের চালু করতে হবে।
আরও পড়ুন: Anti BJP Alliance: ‘মনে হয় INDIA নামটা ওনার পছন্দ’, মোদীর মুজাহিদিন-মন্তব্য প্রসঙ্গে খোঁচা মমতার