সন্ধ্যা সাতটা নয়, রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন। সোমবার সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আজ থেকেই সেই নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কিছু বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টার পরে লোকাল ট্রেন চলবে না। ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টায় লোকাল চলাচল বন্ধ মানে ঠিক কী তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সোমবার সন্ধ্যা হতে না হতেই যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। আর তার আঁচ পেতে না পেতেই সিদ্ধান্ত বদল করল রাজ্য সরকার। নবান্নের পক্ষে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৭টা নয়, রাত ১০টায় ছাড়বে শেষ লোকাল।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের যে ঘোষণা তাতে কোনও প্রান্তিক স্টেশন থেকে ১০টার পরে আর টাইম টেবল মেনে লোকাল ট্রেন যাত্রা শুরু করবে না। তবে রেলের কর্মীরা যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন বা কাজে যোগ দিতে পারেন তার জন্য বিশেষ কিছু ট্রেন চালানো হবে। তবে সেই ট্রেনগুলিতে রেলকর্মীদের পাশাপাশি অন্যন্য জরুরি পরিষেবায় যুক্তরা সফর করতে পারবেন কি না সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। জরুরি পরিষেবার মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্র যুক্ত হবে তা নিয়েও আলাপ আলোচনার পরেই রেলের পক্ষে ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একাংশের প্রশ্ন, জেলার মানুষ লোকাল ট্রেনের উপর কতটা নির্ভরশীল, তা বিবেচনা না করেই বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল রাজ্য? সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চললে কী প্রভাব পড়বে, তা কি ভালোভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি? স্রেফ যাত্রীদের ভিড় এবং যাত্রীদের বিক্ষোভ দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পথে হাঁটল রাজ্য?