প্রথমে অনীহা, তার পর ঘাটালের তিন প্রশাসনিক পদ থেকে তারকা সাংসদ দেবের(Dev) ইস্তফা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রার্থী হতে রাজি হওয়া – ধারাবাহিক এসব ঘটনার পর রবিবার দেবের পাশে দাঁড়িয়ে ঘাটালে বড়সড় রদবদল ঘটাল তৃণমূল (TMC)। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শংকর দলুইকে সরিয়ে দিল দল। তাঁর বদলে নতুন পদে এলেন রাধাকান্ত মাইতি। মনে করা হচ্ছে, ঘাটালের তারকা সাংসদ দেবের সঙ্গে শংকর দলুইয়ের লাগাতার দ্বন্দ্বের জেরেই তাঁকে অপসারিত হতে হল।
ঘাটালে তিনটি প্রশাসনিক পদ থেকে দেব ইস্তফা দেওয়ার পরেই জল্পনা শুরু হয়, অভিনেতা-সাংসদ কি আসন্ন লোকসভা ভোটে আর প্রার্থী হতে চাইছেন না? অনেকের দাবি ছিল, মূলত শঙ্করের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন না সাংসদ। তবে শঙ্কর বা দেব কেউই এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কখনও কিছু বলেননি। তবে আলোচনা চলছিলই। সংসদে বাজেট অধিবেশনের জন্য দিল্লি গিয়ে দেবের কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে সেই জল্পনা আরও বাড়ে।
তার মধ্যেই গত বুধবার একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে। সেই অডিয়ো ক্লিপে দেবের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। দাবি, অডিয়ো ক্লিপে শঙ্করের কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে। শঙ্কর অবশ্য তা অস্বীকার করেছেন। দেবও এ ব্যাপারের বলেছিলেন, ‘‘দিদিই উত্তর দেবেন।’’ সে সব নিয়ে দলের অন্দরে বিতর্কের মধ্যেই শনিবার মমতা-অভিষেকের সঙ্গে দেখা করেন দেব। ঠিক তার পরেই শঙ্করকে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
পদ যাওয়ার পর শঙ্কর বলেন, ‘‘দল ভাল মনে করেই রাধাকান্ত মাইতিকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এখানে বলার কিছু নেই।’’ প্রাক্তন বিধায়কের বক্তব্য, তাঁর সঙ্গে দেবের কোনও গোলমাল নেই। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে সাংগঠনিক পদে রদবদলের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি শঙ্কর। ঘটনাচক্রে, গত নভেম্বর মাসেই ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।