ঘোষিত হল সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফল। তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২,৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর একদা ‘গড়’ মুর্শিদাবাদেই খাতা খুলল কংগ্রেস। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনেও জয়ী হয়নি কংগ্রেস। তবে উপনির্বাচনে জয়ের পর এ বার রাজ্য বিধানসভাতেও প্রতিনিধি পাঠাতে চলেছে হাত শিবির।
রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন (Sagardighi By election) হয়েছে গত সোমবার। তৃণমূলের তরফে প্রথমে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নাম ভাসলেও শেষ পর্যন্ত দেবাশিস বন্দ্য়োপাধ্যায়কে প্রার্থীপদে দাঁড় করানো হয়। বামেরা এবার প্রার্থী দেয়নি। কংগ্রেসের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকেই সমর্থন দিয়েছিলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা। আর সেই প্রার্থীই তৃণমূল, বিজেপিকে পরাস্ত করে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলল নিঃসন্দেহে।
আরও পড়ুন: West Bengal Budget: ডিএ ঘোষণা করল রাজ্য সরকার, মার্চ মাসের বেতনেই মিলবে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা
গত বিধানসভায় সাগরদিঘিতে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, অধুনা প্রয়াত সুব্রত সাহা। সেই আসনে মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে দল প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারল কীভাবে, তা নিয়ে জোড়াফুল শিবিরেও চর্চা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ভোটের ফলে উজ্জীবিত বাম এবং কংগ্রেস শিবির। তাদের দাবি, জোট গড়ে লড়তে পারলে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব।
সাগরদিঘির ফলাফল নিয়ে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ”এই ফলাফল প্রমাণ করে, কংগ্রেস এখনও ফুরিয়ে যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজিত নন। মানুষ নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। এর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ধন্যবাদ।” যদিও তৃণমূল বায়রন বিশ্বাসের এই জয়কে ‘অনৈতিক’ বলে মনে করছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের প্রতিক্রিয়া, ”নীতি-আদর্শহীন অনৈতিক জোট। তার আবার জয়!”
আরও পড়ুন: Eastern Railway: গোটা মার্চ মাস জুড়ে হাওড়া শাখায় বাতিল ১৪ টি লোকাল ট্রেন, ভোগান্তির আশঙ্কা