একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর থেকেই জাতীয় স্তরে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তারে মনোনিবেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা, থেকে গোয়া- নির্বাচনী লড়াইয়ে শামিল বাংলার শাসক দল। এমনকী ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলে দিয়েছেন, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকেও প্রার্থী দেবে তৃণমূল। সব মিলিয়ে কেন্দ্র থেকে মোদী সরকারকে উৎখাতকেই পাখির চোখ করছেন মমতা। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাজধানীতেই ওয়ার্কিং কমিটির পরবর্তী বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দলের সর্বভারতীয় পর্যায়ের যাবতীয় পদের অবলুপ্তি ঘটিয়ে ২০ সদস্যের জাতীয় কর্মসমিতি গড়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নবগঠিত সেই জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকে নয়া পদাধিকারিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নিজের পুরনো পদ অর্থাৎ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে ফিরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় কর্মসমিতির সঙ্গে দলনেত্রী মমতার সমন্বয় রক্ষার ভার পেয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: Accident: জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মর্মান্তিক মৃত্যু এক শিশু সহ দু’জনের
তৃণমূলের নয়া সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন যশবন্ত সিন্হা, সুব্রত বক্সী এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। সর্বভারতীয় মুখপাত্রের দায়িত্বে সুখেন্দু শেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও মহুয়া মৈত্র। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সংগঠন দেখার দায়িত্ব পেয়েছেন অসমের সুস্মিতা দেব, ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক এবং মেঘালয়ের মুকুল সাংমা। দলের বৈদেশিক ও অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ ভার দেওয়া হয়েছে যশবন্ত সিংহ ও অমিত মিত্রকে।
দলের একটি সূত্র শনিবার জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ পাঁচ রাজ্যের ভোটগণনা। তার পরেই দিল্লিতে হবে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। চব্বিশের লোকসভায় কীভাবে বিজেপি সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে দল। পাঁচ রাজ্যের ফলের পর থেকেই তা নিয়ে শুরু হয়ে যাবে আলোচনা।
আরও পড়ুন: বহু পুরনো সঙ্গীতেই আস্থা মমতার! বিধাননগরের মেয়র হচ্ছেন কৃষ্ণাই, জানুন বাকি মেয়রদের নাম