রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য ৬ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারে টিকিট দেওয়া হয়েছে ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, সমিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বড়াইক এবং সাকেত গোখলেকে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ জুলাই রাজ্যসভার নির্বাচন। ১৩ জুলাই মনোনয়ন পর্ব শেষ হবে।
তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার নতুন তিন প্রার্থীর মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাকেত গোখলে (Saket Gokhle)। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিক, সমাজকর্মী সাকেত গোখলে তৃণমূলে যোগদানের পর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গুজরাট পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। জেল হেফাজতেও থেকেছেন। বিজেপি বিরোধী হিসেবে যথেষ্ট পরিচিত মুখ সাকেত। তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্রকে গুজরাট পুলিশ হেনস্তা করেছে বলে সেসময় সুর চড়িয়েছিল বাংলার শাসকদল। এবার তাঁকেই রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হল।
We take great pleasure in announcing the candidatures of @derekobrienmp , @Dolasen7 , @Sukhendusekhar, @Samirul65556476 , @ChikPrakash , and @SaketGokhale for the forthcoming Rajya Sabha elections. May they persist in their dedication to serving the people and uphold Trinamool’s…
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 10, 2023
রাজ্যসভার আরেক নতুন মুখ প্রকাশ চিক বরাইক এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জেলা তৃণমূল সভাপতি। আদিবাসী এই নেতা দীর্ঘদিন তৃণমূলের সৈনিক, জেলায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। পঞ্চায়েতের বিদায়ী সদস্যও ছিলেন। উত্তরবঙ্গের চা বলয় ও আদিবাসী মহলে উন্নয়নের নেপথ্যে প্রকাশ চিক বরাইকের বড় ভূমিকা রয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণির এক প্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিল তৃণমূল।
আরেক নতুন সদস্য সামিরুল ইসলাম বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের প্রেসিডেন্ট। তাঁর সংগঠন সামাজিক ন্যায়বিচার নিয়ে কাজ করে থাকে। এহেন ভাবমূর্তির ব্যক্তিত্বকে সংখ্যালঘু হিসেবে রাজ্যসভায় প্রার্থী করল শাসকদল।
আরও পড়ুন: Panchayat Poll 2023: গোলমাল এড়াতে কন্ট্রোল রুম চালুর নির্দেশ কমিশনের
প্রসঙ্গত, ১৮ অগস্ট পশ্চিমবঙ্গের ছয় সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুস্মিতা দেব, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, শান্তা ছেত্রীর মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে শান্তা ও সুস্মিতা বাদ পড়েছেন এবারের তালিকা থেকে। দোলা, সখেন্দুশেখর, ডেরেককে এবারও টিকিট দিয়েছে দল। এবারে খালি হওয়া ছ’টি আসনের প্রত্যেকটিতে জয়ের জন্য ৪২ জন করে বিধায়কের ‘প্রথম পছন্দের ভোট’ প্রয়োজন। এই নিয়মে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচটি আসনে জেতার কথা। ষষ্ঠ আসনটিতে উপনির্বাচন হচ্ছে এবারে। সেক্ষেত্রেও তাদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া যায়।
এ ছাড়া প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের মেয়াদও শেষ হচ্ছে এই অগস্টেই। ছ’বছর আগে তৃণমূলের সমর্থন পেয়েই রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন প্রদীপ। এ বার কংগ্রেসের কারও রাজ্যসভায় যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বদলে এ রাজ্য থেকে বিজেপি এই প্রথম কোনও রাজ্যসভার সাংসদ পেতে চলেছে।
এদিকে রাজ্যসভার নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য রবিবারই বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদের তলব পড়েছিল। প্রতিটি আসনের মনোনয়নের জন্য ১০ জন প্রস্তাবকের সই প্রয়োজন। এদিকে প্রতি প্রার্থীর জন্য চারটি করে মনোনয়ন পত্রের সেট তৈরি রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আগামী ১৩ জুলাই শেষ হবে মনোনয়ন পর্ব। ওই দিনও রাজ্যের সব বিধায়কদের হাজির হতে বলা হয়েছে বিধানসভায়।