২০ এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে এ বছরের বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে তাই নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। তার মধ্যেই খবর পাওয়া গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ব বাণিজ্য শিল্প সম্মেলন চলাকালীন ইকো ট্যুরিজম পার্কেই থাকবেন। আজ, মঙ্গলবার, বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে ইকো ট্যুরিজম পার্কে চলে যাবেন। ২০ তারিখ বিশ্ববাংলা শিল্প সম্মেলনে যোগ দিয়ে ওই দিন রাতেই ইকোট্যুরিজম পার্কেই থাকবেন। অর্থাৎ মোট দু’রাত ইকোপার্ক এই কটেজে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিকে নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেও জায়গা করে নিচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার৷ দেশ বিদেশের শিল্পপতিদের সামনে মহিলা উপভোক্তাদের হাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ইতিমধ্যেই গোটা দেশের নজর কেড়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প৷ সমাদর কুড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও৷ রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য নারী ক্ষমতায়ণ৷ এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত সেই প্রকল্পকেই শোকেস করতে চাইছে রাজ্য সরকার৷
অন্যদিকে, রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে (বিজিবিএস) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসবেন কি না, সেই প্রশ্ন আরও গভীর হল। কারণ, সোমবার সম্মেলনের যে আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর নাম নেই। তা থেকেই প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে।
আরও পড়ুন: Shantiniketan rape case: মেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্তেরা অধরা
২০-২১ এপ্রিল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন কেন্দ্রে বসতে চলেছে বিজিবিএস-এর আসর। তার আমন্ত্রণপত্রে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নাম রয়েছে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, প্রধানমন্ত্রী যদি আসতেন অথবা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্মেলনে যোগ দিতেন, তা হলে তাঁর নাম আমন্ত্রণপত্রে থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিজিবিএস-এ আসতে অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তার পরে সময়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আসার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছিল। কিন্তু গত বেশ কয়েকদিন ধরে প্রশাসনিক মহলে এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও ইতিবাচক কোনও বার্তা পাওয়া যায়নি বলেই নবান্ন সূত্রের খবর। কয়েকদিন আগে সম্মেলন স্থলে মুখ্যসচিব এবং প্রশাসনের অন্য কর্তাদের প্রস্তুতি বৈঠক হয়। পরে নিরাপত্তা বন্দোবস্ত নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রীর আসা নিয়ে কোনও প্রস্তুতির আলোচনা হয়নি।
প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই জানাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি এলে নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সাধারণত পৃথক ভাবে সমন্বয় করে এসপিজি। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছুও হয়নি। সেই কারণেই তাঁর আসা নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে।
আরও পড়ুন: Karnataka: ম্যানহোল পরিষ্কার করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু ৫ বাঙালি যুবকের, শোকের ছায়া দেগঙ্গায়