Weather Update: A low pressure area is likely to form over Southwest Bay of Bengal around 22nd May

Weather Update: ঘূর্ণিঝড়ের অনুকূল পরিবেশ তৈরি! শুক্র থেকে ভারী বর্ষণ রাজ্যে, জারি সতর্কতা

পঞ্চম দফার ভোটে বাংলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। সেই আভাস মিলে গেছে কারণ দুপুরের দিকে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এই বৃষ্টি যে এখনই থামছে না, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিবেশ যে সাগরে তৈরি হয়ে গেছে, তা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে গোটা সপ্তাহ জুড়েই চলতে পারে বৃষ্টিপাত।

হাওয়া অফিস আগে জানিয়েছিল, ২৩ মে-র মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হতে পারে। বর্তমানে সাগরে সেই ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদেরা।

আলিপুরের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২২ মে নিম্নচাপ বলয় তৈরি হতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। পরে সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। আরও শক্তি বৃদ্ধি করে সেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতিও সাগরে তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে শক্তিশালী হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যার প্রভাবে আগামী তিন দিন বঙ্গোপসাগর থেকে হু হু করে জলীয় বাষ্প ঢুকবে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বর্ষণ শুরু হতে পারে। মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিও। এই পরিস্থিতিতে আবহবিদেরা আগামী শুক্রবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছেন। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা আমফানের মতোই বিধ্বংসী হতে পারে বলে মত আবহাওয়াবিদদের। তবে সেটি কতটা শক্তিশালী হবে বা আদৌ সুপার সাইক্লোনের রূপ নেবে কিনা তা পরবর্তী সময়ে আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সেক্ষেত্রে কি তাহলে বাংলায় এর প্রভাব পড়বে? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে সেটির সম্ভাব্য গন্তব্য হবে মায়ানমার এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ। যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটাই দূরে।