বুধবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা। বেলা বাড়তেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যের উপকূলবর্তী একাধিক জেলাতে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উপকূলবর্তী তিন জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই চব্বিশ পরগনাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই বলেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরসূত্রে খবর, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যার প্রভাবে বৃহস্পতিবার এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করবে শুক্রবার। সেখানেই ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা। আর সেই পূর্বাভাসেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আবহাওয়া দপ্তরের কর্তারা। কারণ জেলায় জেলায় কালীপুজোর বড় বড় প্যান্ডেল হয়েছে। কোনও কারণে যদি দমকা হাওয়া বওয়া শুরু করে, সেক্ষেত্রে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই পুজোকর্তাদের সতর্ক করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় কেষ্ট, সিবিআইয়ের চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে নাম শতাব্দীর
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় ২২ অক্টোবর তৈরি হতে পারে বলে খবর। তবে এর অভিমুখ কোনদিকে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তা পরিষ্কার হলেই বোঝা যাবে, বাংলায় দীপাবলির সময় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কতখানি পড়বে।তবে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বদল হলেও দুর্যোগ অবশ্যম্ভাবী কালীপুজোয়। ফলে দীপাবলিতে নীল আকাশ থাকার সম্ভাবনা বেশ কম।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে অন্ধ্র উপকূলের কাছে। অন্ধ্র উপকূলে থাকা সিত্রাং যদি বাংলার সঙ্গে দূরত্ব কমায় সেক্ষেত্রে কালীপুজোয় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হবে রাজ্যে। একদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা, পাশাপাশি সেই সময় ভরা অমাবস্যা। ফলে ভরা কটাল এবং ঘূর্ণিঝড়ের জোড়া ফলায় সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এমনকী চাষবাসেও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: এবার তৃণমূলের তারকা বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামীকে তলব CBIয়ের