দাম্পত্যকলহের জেরে ৬ বছরের শিশুকন্যাকে বাবা ধর্ষণ করেছেন বলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মা। অভিযোগের ভিত্তিতে বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বছর মে মাসে ঠিক এরকমই অভিযোগ উঠেছিল হাড়োয়ায়। সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছল। ছোট মেয়ে প্রতিবাদ করায় তাঁকে খুনের অভিযোও ওঠে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর দাম্পত্যকলহ চলছিল। গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্বামী – স্ত্রীর মধ্যে তুমুল বচসা হয়। এর পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান স্ত্রী। পরদিন সকালে বাড়ি ফিরলে ৬ বছর বয়সী মেয়ে তাঁকে জানায়, বাবা রাতভর তাঁকে ধর্ষণ করেছে বাবা। মেয়ের কাছে গোটা ঘটনার বিবরণ শুনে থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা শিশুটির মা। স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বসিরহাট আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে তারা। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারা আরোপ করা হয়েছে।
বাবা হয়ে এ কাজ কী করে করলেন ওই ব্যক্তি তা ভাবতে পারছেন না কেউ। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শিশু কন্যাটির মা। ঘটনার খবর চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল শুরু হয় এলাকায়। নিন্দায় সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবেশীরা।
২০২২ সালের মে মাসে হাড়োয়া থেকে একই রকম অভিযোগ আসে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে ২ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, বড় মেয়েকে প্রথমে ধর্ষণ করত বাবা। চাপ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করত সে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করতে শুরু করে সে। ছোট মেয়ে প্রতিবাদ করলে প্রথমে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন ‘করে অভিযুক্ত। এর পর দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে দাবি করে। যদিও বড় মেয়ে বাবার কীর্তি ফাঁস করে দেয়।