Club Fund: West Bengal Government is closing the financial donations to the Club Organizations

Club Fund: সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ, ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

রাজ্যের ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া নিয়ে বহুবার বিতর্ক হয়েছে৷ বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা৷ এবার বড় পদক্ষেপ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার৷ জানানো হল, রাজ্যের ক্লাব সংগঠনগুলিক ‘পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য’ আর কোনও সরকারি অর্থ দেওয়া হবে না৷ নবান্ন সূত্রে খবর, কয়েক বছর ধরে সরকারের তরফে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে, সেই হিসাব দিতে পারেনি বহু ক্লাব৷ সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতার পালাবদলের পর বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল, সরকারের বাছাই করা কিছু ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম দফায় একলপ্তে ২ লক্ষ টাকা এবং পরবর্তী তিন বছর ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সেই নিয়ম মেনে করোনা আসার আগে পর্যন্ত সাড়ে সাতশোর বেশি ক্লাবকে মোটা অঙ্কের আর্থিক অনুদান দিয়েছিল নবান্ন। যার দরুন প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল রাজ্যের কোষাগার থেকে। সরকারের এই অনুদানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। ক্লাবকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার পিছনে রাজনীতি দেখেছিল তারা। শত সমালোচনা ও রাজ্যের কোষাগারে টান পড়লেও অনুদানের পথ থেকে সরেনি রাজ্য সরকার। যদিও কোভিড পর্বে, ২০২০ সাল থেকে এই প্রকল্পে অর্থ দেওয়ার কাজ স্থগিত রাখা হয়। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, এই অনুদান আর দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন: Tornado in West Bengal : মাত্র ১০ সেকেন্ডে লন্ডভন্ড হাবড়া! আতঙ্কে বাসিন্দারা

এরপর কেটে গিয়েছে ৩ বছর। তবু অনুদান প্রক্রিয়া আর শুরু করেনি রাজ্য। এবার পুরোপুরি এই অনুদান প্রক্রিয়ায় ছেদ টানার পক্ষে হাঁটছে নবান্ন। খবর, প্রথম বছর ৭৮১টি ক্লাব এই অনুদান পেয়েছিল। সেই খাতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। পরের বছর ১৫০০ ক্লাবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার জন্য রাজ্য সরকারকে অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হয়েছিল। প্রকল্পের সূচনালগ্ন থেকেই এই আর্থিক অনুদানকে ‘রাজনৈতিক উপঢৌকন’ বলে আক্রমণ করেছিল বিরোধী দলগুলি।

কেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই অনুদান? প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্য সরকার শর্ত দিয়েছিল, যে সব ক্লাব সংগঠন এই অর্থ নিচ্ছে, তাদের খরচের হিসাব (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) জমা দিতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্লাবই সেই হিসাব জমা দিতে পারেনি। মূলত সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।

আরও পড়ুন: Darjeeling: স্কুলের ভিতরেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! গ্রেপ্তার নাবালক