রবিবারই ১০৮ পুরসভার ভোট। চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গের ১৯টি পুরসভা রয়েছে। সেখানে সর্বত্রই শেষ প্রস্তুতি পর্ব।
রবিবার ২০ জেলার মোট ২ হাজার ১৭১টি ওয়ার্ডে কোভিড বিধি মেনে সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ হবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা কমিশনের। নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৭ জন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার। হাইকোর্টের নির্দেশে বাড়ানো হয়েছে পর্যবেক্ষকের সংখ্যাও। ১০ জন আইএএস কর্মকর্তাকে ‘বিশেষ পর্যবেক্ষক’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের বৈঠকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ৪৪ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ১০৮ পুরসভায় মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ১৬০ জন। ভোটারের সংখ্যা ৯৫ লক্ষের বেশি।
উল্লেখ্য, এই ১০৮ পুরসভার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছিল বিজেপি। হাইকোর্ট অবশ্য রাজ্য কমিশনের দিকেই বল ঠেলে দেয়। কমিশনও জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশেই আস্থা তাদের। এরপর সুপ্রিম কোর্টেও যায় বিজেপি। কিন্তু শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে।
পুরসভার ভোটে থাকছেন ১৩৫ জন পর্যবেক্ষক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১০৮ পুরভোটের নিরাপত্তায় ৪৪ হাজার পুলিশ কর্মী-আধিকারিক মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি ইএফআর, এসটিএফ, কমান্ডো ও র্যাফকেও নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পরই রাজ্যের প্রত্যেক জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়ে পুরভোটে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা।