West Bengal: west-bengal-by-election-2024-tmc-won-by-huge-margin

West Bengal: ভোট যেন আরও বাড়ছে তৃণমূলের! বাংলার ছয় উপনির্বাচনে দাঁত ফোটাতে পারল না বিরোধীরা

ভাবনা ছিল আরজি কর আবহে ‘গণআন্দোলন’, ‘তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের বিক্ষোভ’-এর মাঝে দাঁড়িয়ে ৬ আসনের উপনির্বাচনই আসলে দেখিয়ে দেবে, রাজ্যের মানুষ আদতে তৃণমূল সরকারকে আর চায় না। কেউ কেউ বললেন, এই ছয় আসনের ভোট আদতে ২৬-এর ভোটের ‘ট্রেলার’। কিন্তু সকলের আড়ালে মুচকি হেসেছিল আমজনতা। উপনির্বাচনের ফলে তারা বুঝিয়ে দিল, আর জি কর আন্দোলন স্রেফ বিরোধীদের ফোলানো বেলুন! আসলে মমতাতেই ভরসা রাখছে বঙ্গবাসী।

গত ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের বিধানসভা ভোট তখনও শেষ হয়নি। সাংবাদিক বৈঠক থেকে মিডিয়ার একাংশকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “মিডিয়ার একাংশ তো বিরোধীদের হয়ে স্পনসরশিপ করছে। তবু ৬টার  মধ্যে একটা সিটেও কি জেতাতে পারবেন? মিলিয়ে দেখে নিন! রেজাল্টের দিন দুপুরের পর কথা হবে!” তাঁর কথাই মিলে গেল অবশেষে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নৈহাটির প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ওই কেন্দ্রেই রাজনীতির সব সমীকরণ বদলে, সিপিএম (আই) জোট করেছিল লিবারেশনের সঙ্গে। লালে হাল ফেরাতে, আরজি কর আবহের মধ্যেই আরও একধাপ এগিয়ে নয়া জোট করেছিল বামেরা। তাতেও কোনও যে লাভ হল না, শনিবারের সকাল তার প্রমাণ।

মাদারিহাট গেরুয়া শিবিরের ঘাঁটি, সেই ঘাঁটিও অনায়াসে ‘কঠিন সময়’-ও টপকে গেলে মমতার তৃণমূল। মাদারিহাটে জিতলেন জয়প্রকাশ টোপ্পো। প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে জয়প্রকাশ জিতেছেন ৩০, ৩০৯ ভোটে। এই প্রথম এই আসনে জয় এল ঘাসফুল শিবিরের। বিধানসভা উপনির্বাচনে নজর ছিল নৈহাটির দিকে। শাসক দলের প্রার্থী সনৎ দে ৪৮ হাজার ৮৭৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন। সিতাইয়েও জিতে গেলেন সঙ্গীতা রায় । সঙ্গীতা জিতেছেন ১লক্ষ ৩০ হাজার ১৫৬ ভোটে। হাড়োয়াতে জয়ী হাজি নুরুলের পুত্র,  মেদিনীপুরে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা। লক্ষাধিক ভোট পেয়ছেন তিনি, প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। তালড্যাংরাতেও জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।

২০১৯-এর লোকসভা ভোতের পর বিজেপি যে জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিল, ২১–এর বিধানসভা, ২৪-এর লোকসভা এবং এই ছ’ আসনের উপনির্বাচন, দিনে দিনে পর্যদুস্ত বিজেপির ছবি ফুটে উঠছে বাংলার রাজনীতিতে। শহর ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলেও যে পদ্ম-শিবিরের ঘাঁটি শক্ত হয়নি, এমনকী আলগা হয়েছে উত্তরবঙ্গে, এই উপ-নির্বাচন তার প্রমাণ। বিপুল মার্জিনে জয়ের পর, মা-মাটি-মানুষকে অভিবাদন জানিয়েছেন খোদ দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। জয়ের পর মমতার স্পষ্ট বার্তা, ‘আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার।’  ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি।