ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (WMO/ESCAP) তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে, সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হল ‘অশনি’।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঝড়টি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি ৭৫কিমি/ঘন্টা বেগে বাতাস বইবে বলে মনে করা হচ্ছে এবং এটি আরও শক্তিশালী হতে পারে। ঝড়ের নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলীতে ‘অশনি’ শব্দের অর্থ ‘ক্রোধ’। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, যে মহাসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকার দেশগুলি সেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। একবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় এই পদ্ধতি শুরু হয়। সেইমতো বিশ্বের ১১ টি প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে অমিত শাহ, উদ্বোধন করলেন ভাসমান BSF চৌকির
২০০০ সালে ওমানের মাসকটে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড পেসিফিকের (WMO/ESCAP) ২৭ তম বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে উৎপত্তি হওয়া সব ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করতে সেই বৈঠকে রাজি হয়েছিল সংগঠনটি।
সেইমতো ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়েছিল। সেই সময় আটটি দেশ নামের পরামর্শ দিত। পরবর্তী সময়ে সেই সংগঠনে আরও পাঁচটি দেশ যোগ দেয়। আপাতত ওই সংগঠনের দেশগুলি হল – বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মলদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেন।
২০২০ সালে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ ১৩টি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সদস্য দেশের সাথে আলোচনা করার পরে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের ১৬৯টি সম্ভাব্য নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রতিটি দেশ ১৩টি নাম প্রস্তাব করেছে।
আরও পড়ুন: Cyclone Asani: আজই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে নিম্নচাপ, বিশেষ সতর্কতা ওড়িশা-অন্ধ্র-বাংলায়