বিশ্বভারতী (Vishwabharati) কর্তৃপক্ষ (Authority) এখনও উদ্যোগ না নেওয়ায় বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষ মেলা (Poush Mela 2022) করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷ আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ছয় দিন চলবে মেলা। শুক্রবার বোলপুর মহকুমা শাসকের দফতরে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছিল শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা (Santiniketan Poush Mela)। এদিকে করোনা পরবর্তী সময়কালে পৌষ মেলা নিয়ে একাধিকবার অনিশ্চয়তার কালো মেঘ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। অনেকে আশা করেছিলেন যে চলতি বছরের ডিসেম্বরে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠেই আগের মত পৌষ মেলার আয়োজন করা হবে। তা নিয়ে একাধিকবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University) কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। এনিয়ে বৈঠকও হয়েছিল বহুবার। কিন্তু, তাতেও কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যার কারণে ফের বিকল্প পৌষ মেলার ব্যবস্থা করল বীরভূম জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee : কাঁথিতে অভিষেকের সভার আগে TMC নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, মৃত ৩
এদিন বোলপুর মহকুমা শাসকের দফতরের সভাকক্ষে বিকল্প পৌষমেলা নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। ছিলেন মহকুমাশাসক অয়ন নাথ, বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ প্রমুখ৷ এছাড়াও ছিলেন বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলরা, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের প্রতিনিধিরা, শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকরা, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার৷ এই বছর শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে হবে বিকল্প মেলাটি। সহযোগিতা করবে বোলপুর পুরসভা, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ, কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেট ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “ডাকবাংলো মাঠের পাঁচটি অংশতে এই মেলার ব্যবস্থা করা হবে বিভিন্ন কোম্পানির প্রদর্শনী থেকে শুরু করে সরকারি প্রদর্শনী এমনকী ছোট মাঝারি শিল্পীদের শিল্প প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে এই মেলাতে। ২৪ ডিসেম্বর মেলা প্রাঙ্গণে বাজি পোড়ানো হবে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা মেনেই বাজি পোড়ানো হবে। বিশ্বভারতীর তরফে সরাসরি কোনও সহযোগিতার না আসলেও বিশ্বভারতীর ট্রাস্টকে সঙ্গে নিয়ে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: Mamata : হাসপাতালে ভরতির পদ্ধতি ও রেফার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর মমতার