কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগের পেছন থেকে উদ্ধার হল আছিয়া বিবি নামে সন্দেশখালির এক গৃহবধূর মৃতদেহ। গত ২৬ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরদিনই তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরদিনই তিনি নিখোঁজ। তাঁর দেহ মিলল প্রসূতি বিভাগের পেছনের দিকে।
ঠিক কী ঘটেছে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে? হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত প্রসূতির নাম আছিয়া বিবি। তিনি সন্দেশখালির বাসিন্দা এখানে ভর্তি হযেছিলেন। তাঁকে গত ২৬ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার পরের দিনই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ নিখোঁজ হয়ে যান ওই প্রসূতি। তখন বেনিয়াপুকুর থানাতে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা। তারপর আজ, সোমবার সকালে প্রসূতি বিভাগের পিছন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার।
আরও পড়ুন: Bowbazar: ফিরল আতঙ্ক, ভোররাতে বড় বড় ফাটল বউবাজারের একাধিক বাড়িতে
পরিবারের অভিযোগ, আছিয়ার দেহে বেশকিছু ক্ষত রয়েছে। শরীরের মাংস খুবলে নিলে যেমন ক্ষত হয় হয় তেমনটা। শুধু তাই নয়, পরিবারের আরও দাবি তাদের মনে হয়েছে আছিয়ার হাত পেছন থেকে বাঁধা ছিল। এদিকে, ওই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুয়ায়ী ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্ব যারা ছিলেন তাদের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিসও এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
গাইনি বিভাগের পেছনে যেখান থেকে আছিয়ার দেহ উদ্ধার হয় তার উপরে ভবনের জানলাগুলি থেকে পড়ে যাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে না। তাহলে তার ওই মহিলার মৃত্যু হল কীভাবে? কীভাবেইবা দেহ ওই জায়গায় এল? ময়না তদন্তের পর এনিয়ে বেশকিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে। হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে নেমেছেন হোমিসাইড শাখার পুলিস।
আরও পড়ুন: Weather: শীতের শুরু? ১০ বছরের রেকর্ড ভেঙে শনিবার শহরে শীতলতম দিন