দফায় দফায় ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠেছে তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৮০টির বেশি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।তাইওয়ানের আবহাওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, এর মধ্য সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পূর্বাঞ্চলের হুয়ালিয়েনের প্রত্যন্ত এলাকায়। ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী তাইপেতেও।
সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ১২ বার কেঁপে উঠল তাইওয়ান (taiwan)। এমনকি বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে হওয়া কম্পনের নিরিখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৮০ বার রিখটার স্কেলে কম্পন ধরা পড়েছে। মূলত পূর্ব উপকূল এলাকায় বেশি কম্পন অনুভূত হয়। যার মধ্যে সবথেকে তীব্র ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৬.৩। রাজধানী তাইপেই-তেও অনুভূত হয় কম্পন। কম্পনের উৎসস্থল তাইওয়ানের পূর্ব দিকে হুয়ালিয়েন এলাকায়। এখনও পর্যন্ত কম্পনের ফলে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
দু’সপ্তাহ আগেই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। মারা যান ১৪ জন। সেবারও কম্পন অনুভূত হয়েছিল এই হুয়ালিয়েন শহরেই। তাইওয়ান এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ। দু’টি টেকটোনিক প্লেটের একেবারে মুখে তাইওয়ান। সে কারণেই প্রায়শই ভূমিকম্প অনুভূত হয় এখানে।
তাইওয়ান এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ। দু’টি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। সে কারণেই প্রায়শই ভূমিকম্প হয় এখানে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের কম্পনের উৎসস্থল ছিল হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৪.৮ কিলোমিটার গভীরে। আজকের কম্পনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাহাড়ে ঘেরা এই শহরটিই। কম্পন-প্রবণ দেশ বলেই এখানকার বহুতল এবং বিভিন্ন ভবনগুলি তৈরি করা হয় যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে, বিশেষজ্ঞদের নিয়ম-রীতি মেনে। সেই সঙ্গে চলে জনসচেতনতা প্রচারও।