কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে একটি ট্রলার থেকে ১১ জনের পচাগলা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও দমকল বিভাগের সদস্যরা। রবিবার একটি ট্রলার দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। ট্রলার থেকে মানুষের হাত বেরিয়ে রয়েছে দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয় জনতার। অধিকাংশ দেহই রয়েছে হাত-পা বাঁধা অবস্থায়।খবর পেয়েই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ও দমকল বিভাগ।
কক্সবাজার দমকল বিভাগের কর্তা খান খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, ট্রলারে মাছ রাখার যে ফ্রিজ বা বিশেষ কক্ষ থাকে, সেখানেই দেহগুলি রাখা ছিল। তাঁদের মতে, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যার পরই অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্তীরা দেহগুলি ওই বিশেষ কক্ষে ঢুকিয়ে রেখেছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। খান খলিলুর রহমান আরও জানিয়েছেন, মরদেহগুলো বাজে ভাবে পচে-গলে গিয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত মৃতদের শনাক্ত করা যায়নি। উদ্ধারের পর, মরদেহগুলি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
রবিবার বেলা দুটো নাগাদ অভিযান শুরু হয়। সবমিলিয়ে ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, কক্সবাজারের (Cox’s Bazar) নাজিরা পয়েন্টে ২-৩ সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিল একটি মাছ ধরার ট্রলার। শনিবার রাতে সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে ট্রলারটি।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ট্রলারটির সম্ভবত গভীর সমুদ্রে জলদস্যুদের খপ্পরে পড়েছিল। দস্যুরাই ট্রলারে থাকা মাছ, মাছ ধরার সরঞ্জাম ইত্যাদি লুঠ করে মৎস্যজীবীদের হাত–পা বেঁধে ট্রলারে মাছ ও বরফ সংরক্ষণের কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। পরে, ট্রলারটিকে সাগরে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, ঢেউয়ের টানে ভাসতে ভাসতে সেগুলি উপকূলে চলে এসেছে।