প্রবল তুষারপাতের জেরে সারি দিয়ে দাঁড়িয়েছিল গাড়িগুলি। শুরু হয় ট্রাফিক জ্যাম। তবে বরফ কেটে গাড়ি সরানো যায়নি। এদিকে, তখন বাইরে প্রবল তুষারপাত। এরই মাঝে পাকিস্তানের শৈলশহর মুরিতে গাড়ির ভিতর আটকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। ঘটনা ঘিরে শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জানা গিয়েছে, ঘটনায় ইসলামাবাদের পুলিশ অফিসার নাভিদ ইকবালের পরিবারের ৮ জন এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।
শুক্র এবং শনিবার দু’দিন ধরে টানা তুষারপাত হয়েছে মুরী শহরে। এর ফলে গাড়ি-সহ বরফের নীচে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। সেই ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ জানিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও রয়েছে। বাকি পর্যটকদের উদ্ধারের কাজ চলছে।
পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ একটি ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, তুষারপাতে আটকা পড়ে ১৬ থেকে ১৯ জন গাড়িতেই মারা গিয়েছে। এদিকে পাক সেনা উদ্ধারকাজ শুরু করতে নেমে রাস্তায় জমে থাকা বরফ সরানোর চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গেই আটকে পড়া ব্যাক্তিদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে প্রতিকূল পরিবেশে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
Evacuation process continues in #Murree areas. pic.twitter.com/AsWQueBhNi
— Azhar Mashwani (@MashwaniAzhar) January 8, 2022
এএফপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১ লক্ষেরও বেশি গত কয়েক দিনে মুরির পথে দেখা গিয়েছে। তুষারপাত দেখতেই গাড়িগুলি ওই অঞ্চলে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে একটা বড় অংশকেই ভুগতে হয়েছে তুষারপাতের ধাক্কায়। আটকে থাকতে হয়েছে রাস্তায়।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই মুরিকে ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ বলে ঘোষণা করেছে। আমজনতাকে এই এলাকা থেকে দূরে থাকতে আরজি জানানো হয়েছে। ওই অঞ্চলের আবহাওয়া এখনও প্রতিকূল থাকায় উদ্ধারকাজে গতি আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।