দক্ষিণ আফ্রিকার শহর ইস্ট লন্ডনের এক নাইট ক্লাব থেকে ২১ জনের দেহ উদ্ধার। রবিবারেই এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামপোসা।
হাই স্কুলের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শনিবার রাতে ওই পানশালায় আনন্দ করতে ওই পানশালায় জড়ো হয়েছিল মৃত কিশোর- কিশোরীরা৷ কিন্তু মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ মৃতদের কারও শরীরেই বাইরে থেকে কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি বলেই দাবি পুলিশের৷ আবার পদপিষ্ট হওয়ার মতো কোনও ঘটনাও ঘটেনি৷ ফলে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ দেহগুলি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ ইস্ট লন্ডন শহরে এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷
আরও পড়ুন: Earthquake: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ২৮০, কেঁপে উঠল ভারত-পাকিস্তানও
স্থানীয় এক সংবাদপত্রের খবর, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে চেয়ার-টেবলের উপরেই পড়ে রয়েছে দেহগুলি। কিন্তু কোনও ক্ষতের চিহ্ন নেই বলেই দাবি করা করা হয়েছে। এমনকী এই দাবির সত্যতা স্বীকার করেছে ইস্ট লন্ডনের পুলিশও। এই ঘটনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এই নাইট ক্লাবের মালিককে। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনিও হতবাক হয়েছেন। কারণ, যে ২১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাদের নরম পানীয় দেওয়া হয়নি।
যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের অধিকাংশেরই বয়স ১৩ থেকে ১৮-র মধ্যে৷ মর্গে গিয়ে একসঙ্গে এতজন কিশোর- কিশোরীর মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন দেশের পুলিশমন্ত্রী ভেকি সেলেও৷ দক্ষিণ আফ্রিকার শহরতলিগুলিতে অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ির ভিতরে পানশালার ব্যবস্থা করা হয়৷ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ বছরের নীচে মদ্যপান নিষিদ্ধ৷ কিন্তু এই ধরনের পানশালাগুলিতে সবসময় নিয়ম বিধি মানা হয় না৷ যদিও শনিবারের এই ঘটনার পর কঠোর ভাবে বিধিনিষেধ জারির পথে হাঁটছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন৷ পৃথিবীর যে দেশগুলিতে সবথেকে বেশি মদ্যপান করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ আফ্রিকা৷
আরও পড়ুন: Padma Bridge: উদ্বোধনের পর দিনই দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ যুবকের,পদ্মা সেতুতে নিষিদ্ধ বাইক চলাচল