46 dead, 16 hospitalised after trailer of migrants found in Texas' San Antonio

Texas: ট্রাক থেকে উদ্ধার ৪৬ জনের মরদেহ, শরণার্থী নাকি মানুষ পাচারের চেষ্টা?

আমেরিকায় (USA) কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হল ট্রাকের ভিতর থেকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ১৬ জন। জানা গিয়েছে, রেল লাইনের ধারে দাঁড় করানো ছিল ট্রাকটি। কী করে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, সেই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় পুলিশ।

টেক্সাসের সান আন্তোনিও শহরে ঘটনাটি ঘটেছে। আমেরিকার প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে যে ট্রাকটির চালক পলাতক। তাঁকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে শহরের পুলিশ। তবে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ট্রাকের ছবিটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

টেক্সাস (Texas Truck Dead) শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে রেললাইনের পাশে দাঁড় করানো ছিল ট্রাকটি। মেক্সিকোর দমকল বিভাগের তরফে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, অত্যন্ত গরমের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে মানুষ পাচারের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। অনুমান করা হচ্ছে, মৃতদেরকেও পাচার করার উদ্দেশ্যেই ট্রাকে তোলা হয়েছিল। অন্য মহলের তরফে জানা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তিরা শরণার্থী হিসাবেই আমেরিকায় আশ্রয় নিতে চেয়েছিল। সেই কারণেই ট্রাকে উঠছিল তারা।

আরও পড়ুন: Afghanistan Earthquake: মৃতের সংখ্যা হাজার ছুঁইছুঁই! বাতাসে শুধুই স্বজনহারার কান্না

সোমবারের মতো ঘটনা অবশ্য আমেরিকায় নতুন নয়। মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় প্রবেশ করার পথে বিগত কয়েক বছরে বহু অনুপ্রবেশকারী এ ভাবেই মারা গিয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। ২০১৭ সালে ট্রাকে বদ্ধ অবস্থায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল এই স্যান অ্যান্টোনিয়োতেই। তার আগে ২০০৩ সালে টেক্সাসের এই দক্ষিণপ্রান্তের শহরে অনুপ্রবেশ করার সময় ট্রাকের ভিতরে মারা যান ১৯ জন। ট্রাকের মধ্যে এ ভাবে মানবপাচারের প্রক্রিয়া নব্বইয়ের দশক থেকেই শুরু হয়েছিল। পুলিশের নজর এবং পুলিশ-কুকুরের ঘ্রাণশক্তি থেকে বাঁচাতে সামান্য জায়গার মধ্যে ঠেসেঠুসে বসানো হয় অনুপ্রবেশকারীদের। সামনে কখনও রেখে দেওয়া হয় পচা তরমুজ, কখনও বা দুর্গন্ধযুক্ত জিনিসপত্র। বদ্ধ ট্রাকে এ ভাবেই প্রায় দু’দশক ধরে অনুপ্রবেশকারীরা মেক্সিকো থেকে ঢুকেছেন আমেরিকায়। কিন্তু দীর্ঘ পথে প্রায়ই বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র গরম।

মেক্সিকো-আমেরিকা সীমান্ত আগে সামান্য অর্থের বিনিময়েই পেরোতে পারতেন অনুপ্রবেশকারীরা। কিন্তু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে (৯/১১) হামলার পর থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সহজ রাস্তায় যাওয়া-আসা। পাহাড়ের বন্ধুর এবং দীর্ঘ রাস্তা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে ট্রাক ঢোকে আমেরিকায়। সীমান্তের কাছাকাছি তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। প্রচণ্ড গরমে ট্রাকের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মারা যান অনেকেই।

সোমবারের ঘটনাটি প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, স্যান অ্যন্টোনিয়োর তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছুঁয়েছে গত বেশ কয়েক দিন ধরে। সেলসিয়াসের হিসেবে যা প্রায় ৩৮ ডিগ্রির কাছাকাছি। বদ্ধ ট্রাকের ভিতর ৪৬ জনের মৃত্যুর কারণ হিসাবে এই অতিরিক্ত তাপমাত্রার কথাই জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: South Africa: নেই কোনও আঘাতের চিহ্ন, নাইট ক্লাবে ২২ কিশোর-কিশোরীর রহস্যমৃত্যু