কম্বলে জড়ানো শয়ে শয়ে মৃতদেহ। বাড়ি বলতে শুধু দেখা যাচ্ছে পাথরের ঢিপি। ২০০২ সালের পর এই প্রথম রিখটার স্কেলে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পের সাক্ষী থাকল দেশ। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে। উদ্ধারকাজ শুরু হলেও অনেকেই ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন বলে খবর।
রয়টার্স সূত্রে খবর, আফগান-পাক সীমান্তবর্তী খোস্ত শহর থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। পাকতিয়া প্রদেশে ধসে পড়েছে বহু বাড়ি। আফগানিস্তানের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন ভোরেই এই ভূমিকম্প হয়েছে। সব মিলিয়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের প্রায় ৫০০ কিলোমিটার অঞ্চল ভূমিকম্পের কবলে পড়েছে। তবে ক্ষতি হয়েছে আফগানিস্তানেরই। তালিবানের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকের প্রধান নাসিম হাক্কানি জানাচ্ছে, অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে পাকতিয়া প্রদেশে।
আরও পড়ুন: Revlon: ধারের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার! দেউলিয়া বিখ্যাত্ কসমেটিক্স সংস্থা
রাত দেড়টা নাগাদ ভূমিকম্প হয় এই এলাকায়। যার তীব্রতা দিল্লিতেও অনুভূত হয়েছে বলে খবর। রিখটার স্কেলে ৬.১ ম্যাগনিচ্যুডের ওই কম্পনের কেন্দ্র ছিল পাকটিকার লাগোয়া খোস্ত প্রদেশের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে। গায়ানের কাছেই। পাহাড়ি এলাকা, তার ওপর জঙ্গল— এমনিতেই রাত নামে তাড়াতাড়ি। মঙ্গলবার গভীর রাতে যখন ভূমিকম্প হয়, তখন গোটা গায়ানই ঘুমিয়ে ছিল। কিছুটা একই অবস্থা গায়ানের ঠিক পাশের জেলা বরমালেরও।
আফগানিস্তানে স্থানীয় চ্যানেলের ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে বারমল থেকে হেলিকপ্টারে করে আহতদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্য প্রদেশে চিকিৎসার জন্য। কোথাও ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই প্লাস্টিকের চেয়ারে বসিয়ে চলছে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ।সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ ন্যূনতম খাবারটুকুও পান না। এই পরিস্থিতিতে এত বড় বিপর্যয় কি সামলাতে পারবে আফগানিস্তান? কাবুলে বসে দেশের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ হাসান আখুন্দ অবশ্য জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সরবরাহ পাঠানো হচ্ছে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে। তবে পাশাপাশি অন্য দেশগুলিকেও এগিয়ে আসতে বলেছে তালিবান নেতা। সাহায্য করতে বলেছে বিপদে পড়া দেশকে।
আরও পড়ুন: Pope Francis: বিয়ের আগে অন্তরঙ্গ না হওয়াই আসল ভালবাসা, পোপের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক