বিতর্কের মাঝেই ভারতের সরকারি প্রশিক্ষণে যোগ দিল আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের প্রতিনিধিরা। কেরলের কোঝিকোড়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। বিষয় বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য। দারি ভাষায় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আফগানিস্তানের ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোম্যাসি এই প্রশিক্ষণে যোগদানের কথা জানিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কোঝিকোড়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের সহযোগিতায় একটি কোর্স আয়োজন করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বৈচিত্র্যময় ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হতে পারে বিদেশি আধিকারিকদের, এই কথা মাথায় রেখেই বিশেষ কোর্সের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কোর্সের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতি, আর্থিক পরিবেশ-সহ নানা বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: George Soros : CAA থেকে Adani, বরাবর নরেন্দ্র মোদীর কট্টর সমালোচক: কে এই মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরস?
এই কোর্সে সব মিলিয়ে ৩০ জন অংশগ্রহণ করবেন। সেখানেই অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের (Afghanistan) প্রতিনিধিদের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আমন্ত্রণ জানালেও ভারতে পা রাখবে না তালিবান প্রশাসনের আধিকারিকরা। অনলাইনেই ভারতীয় কোর্সে যোগ দেবেন তাঁরা।
আফগানিস্তানের তালিবান শাসনকে মান্যতা না দিলেও সেদেশে তালিবানের সঙ্গে বরাবরই সহযোগিতা করেছে ভারত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তার মতে, ভারত চায় না কূটনৈতিক ক্ষেত্রে তালিবানকে একেবারে অচ্ছুৎ করে রাখা হোক। ২০২১ সালের অগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে তালিবানরা। তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। ১০ মাস পর ২০২২ সালের জুলাইয়ে কাবুলে দূতাবাস খোলে দিল্লি। তবে দূতাবাস না বলে বিদেশ মন্ত্রক জানায়, কাবুলে ‘প্রযুক্তি দল’ মোতায়েন করা হয়েছে, যারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে। এর পর ক্রমে তালিবানদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।