হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর প্রচারিত হওয়ার ফলে সারা ইরানে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রেসিডেন্ট রায়িসি স্বল্প সময়ের দায়িত্ব পালনকালে ইরানি জনগণের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণির মধ্যে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে পৌঁছেছিল। অত্যন্ত সাধাসিধে জীবনযাপন, সদাচারণ এবং ব্যাপক পরিশ্রম করার কারণে মানুষ তাকে ভালোবাসত। দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি প্রায়ই সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস করেছেন। নিঃসন্দেহে এমন একজন প্রেসিডেন্টের মৃত্যু মেনে নেওয়া ইরানি জনগণের জন্য সহজ ছিল না। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই দলে দলে মসজিদসহ অন্যান্য স্থানে সমবেত হয়ে আল্লাহর দরবারে প্রেসিডেন্টের সুস্থতার জন্য দোওয়া করতে শুরু করেন।কিন্তু ইরান সময় সোমবার সকাল ৭টার দিকে খবর আসে হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই।
ইরানের সংবিধানের ১৩১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে: মৃত্যু, বরখাস্ত, পদত্যাগ কিংবা অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে প্রেসিডেন্ট দুই মাসের বেশি অনুপস্থিত থাকলে অথবা প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কোনো কারণে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেরি হলে সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনক্রম প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এরপর ভাইস প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট স্পিকার ও বিচার বিভাগের প্রধানের সমন্বয়ে গঠিত পরিষদ পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
বর্তমানে ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবের। গতকাল হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর প্রচারিত হওয়ার পরপরই তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক হয়েছে। সর্বোচ্চ নেতা অনুমোদন করলে এখন তিনি আগামী ৫০ দিনের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের হাতে চলে যাবে রাষ্ট্রের দায়িত্বভার।