মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র ড্রোন হামলায় নিহত আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি। প্রসঙ্গত, এই আয়মান আল-জাওয়াহিরি ৯/১১ হামলার অন্যতম চক্রী ছিল। জানা গিয়েছে, কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিকেশ হয় এই জঙ্গি নেতা। আল কায়দা প্রধানের মৃত্যুর খবর দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজে। বাইডেন একটি টুইটের মাধ্যমে আয়মাল আল-জাওয়াহিরির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেন গোটা বিশ্বের সামনে।
সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি জারি করে বাইডেন বলেন, “আমার নির্দেশে শনিবার কাবুলে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় নিহত হয়েছে আল কায়দার আমির (প্রধান) আয়মান আল-জওয়াহিরি।” জেহাদিদের হুমকি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “বিচার হয়েছে এবং জঙ্গি নেতা মারা গিয়েছে। যত সময় লাগুক না কেন, যে বা যারা আমেরিকার মানুষজনকে বিপন্ন করবে, তারা রেহাই পাবে না। ৯/১১ হামলায় জড়িত ছিল ওই জঙ্গি। সে ওসামা বিন লাদেনের দ্বিতীয় সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিল।”
আরও পড়ুন: Pakistan: স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন, পরে সন্তানদের সামনেই দেহ কড়াইয়ে ফোটালেন স্বামী!
টুইট করে বাইডেন লিখেছেন, শনিবার কাবুলে মানব-বিহীন বিমান হামলা চালায় আমেরিকা। ওই হামলাতেই মৃত্যু হয়েছে আল কায়দা প্রধানের। লিখেছেন, ‘কত দেরি হল, সেটা বড় কথা নয়, কোথায় লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিলে, তাতেও ফারাক পড়ে না। আমরা ঠিক খুঁজে বার করবই।’’ টুইট বার্তায় বাইডেন আরও লিখেছেন, ‘যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের থেকে আমেরিকার মানুষকে রক্ষা করার সংকল্প জারি রেখেছে আমেরিকা।’ বাইডেন এ-ও বলেছেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার দেওয়া গেল।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমেরিকার সেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবার ভোর ৬টা ১৮ মিনিটে কাবুলে আমেরিকার হামলায় মৃত্যু হয়েছে জওয়াহিরির। এর পরই টেলিভিশনে জওয়াহিরির মৃত্যুর খবর নিয়ে বক্তৃতা দেন বাইডেন। পরে টুইট করে এ খবর জানান।
The United States continues to demonstrate our resolve and our capacity to defend the American people against those who seek to do us harm.
Tonight we made clear:
No matter how long it takes.
No matter where you try to hide.
We will find you.— President Biden (@POTUS) August 2, 2022
ওসামা বিন লাদেনের হত্যার পর জওয়াহিরির মৃত্যু জঙ্গি সংগঠনটির পক্ষে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।মিশরের রাজধানী কায়রোয় জন্ম আল-জওয়াহিরির। পেশায় শল্য চিকিৎসক ছিলেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় জঙ্গি হামলায় লাদেনের সঙ্গে অন্যতম চক্রী ছিলেন তিনি। তাঁর মাথার দাম ধরা হয়েছিল ২.৫ কোটি ডলার।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কাবুলে একটি ‘নিরাপদ বাড়ি’র ব্যালকনিতে খতম করা হয়েছে জওয়াহিরিকে। তবে এই হামলায় অন্য কেউ হতাহত হননি বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bangladesh Accident: সিগন্যাল-রক্ষীবিহীন রেলগেট, ট্রেনের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু ১১ পড়ুয়ার