রবিবার সকালে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটল (Padma Setu Accident)। যাত্রীবাহী বাসটির আচমকাই চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় খাদে। বাসে ৪০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। জানা গেছে, ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর চারটে নাগাদ খুলনার ফুলতলা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসটি ছাড়ে। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল বাসটি। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় আচমকাই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। সজোরে রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। এরপরই বাসটি রেলিং ভেঙে পাল্টি খেতে খেতে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: Turkey Earthquake: ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কে, মৃত কমপক্ষে ৩, আহত অন্তত ২০০
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারাই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশ প্রশাসনেও। পরে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা মিলে খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করার কাজ শুরু করেন। সকাল ৯টা অবধি ১৬ জন যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরে হাসপাতালে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। মৃতের সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কী কারণে দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে বাসের চালক অতিরিক্ত গতিতে চালাচ্ছিলেন। মহাসড়কের উপর আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। ফরিদপুরের দমকল আধিকারিক শিপলু আহমেদ বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণে বাসের টায়ার ফেটে যায়। তার পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা।’’ আহত ও নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, নিহতদের পরিবারপিছু ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের পরিবারপিছু ৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: India-Bangladesh: পাইপলাইনে তেল যাবে নয়াদিল্লি থেকে ঢাকা, উদ্বোধনে মোদী-হাসিনা