মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হল ১৪৩। আহত অন্তত ১৪০ জন। শনিবার সকালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী এফএসবি-র প্রধান জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চার অভিযুক্তও, যাঁরা সরাসরি হামলায় জড়িত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রকাস সিটি হলে চলছিল রাশিয়ার রক ব্যান্ড ‘পিকনিক’-এর অনুষ্ঠান। ওই প্রেক্ষাগৃহে হাজার দর্শক এঁটে যেতে পারেন। ফৌজিদের পোশাক পরে কনসার্ট হলে ঢুকেছিল জঙ্গিরা। তার পর এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গ্রেনেড এবং বোমাও ছোড়া হয়। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কনসার্ট হল ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। সেখান থেকে কালো ধোঁয়া গলগল করে বার হচ্ছে। আগুন নেভাতে তিনটি হেলিকপ্টার থেকে জল ছোড়া হয়। অনেকেই বাঁচতে চেয়ারের পিছনে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ দৌড়ে বেসমেন্টে বা ছাদেও উঠে পড়েন।
(Soon is a quite relative word)
Crocus City Hall is still burning pic.twitter.com/OfdMvKGeJ6
— Liveuamap (@Liveuamap) March 22, 2024
এই হামলার নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি। আমেরিকার দাবি, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে আইএসের খোরাসান শাখা। আইএসের ওই শাখাও হামলার দায় স্বীকার করেছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে এই নিয়ে তারা মস্কোকে সতর্কও করেছিল। যদিও পুতিন সরকার এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
এই ঘটনায় এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি পুতিন। তাঁর এক সহযোগী জানিয়েছেন, আহতদের দ্রুত আরোগ্যকামনা করেছেন তিনি। এই হামলার পর সারা দেশে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। আগামী বেশ কয়েক দিন সমস্ত রকম অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক দল। হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রও হাতে এসেছে পুলিশের।
রাশিয়ার আপৎকালীন মন্ত্রকের তরফে অভিশপ্ত ক্রোকাস সিটি হলের ভেতরের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গোটা প্রেক্ষাগৃহ। পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া চেয়ার, সিলিং, দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ওপরের ছাদের একাংশ ধ্বসে পড়েছে। হামলাকারীরা গুলি চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল গোটা হলে। ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমকে এক উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, ‘এখনও অনেকে হয়ত চাপা পড়ে আছে ভেতরে, জানি না সংখ্যাটা!’