ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে সেখানে আগুন ধরে যায়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেল আবিবসহ মধ্য ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা সংকেত বাজানো হয়। এ সময় বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর জানানো হয়নি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য একটি ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। যেটি মধ্য ইসরায়েল অতিক্রম করে খোলা জায়গায় গিয়ে পড়ে।
গাজায় প্রায় এক বছর ধরে চলা যুদ্ধের এটি সর্বশেষ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ইসরায়েল ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে পাল্টা আঘাত চালাতে পারে।
এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বা বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে মানুষকে দৌড়ে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশ্রয়স্থানে দিকে যেতে দেখা গেছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এর অল্প সময় পরই তারা স্বাভাবিক কার্যক্রম আবারও শুরু করেছে।
এ ছাড়া, ফুটেজে ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের একটি পল্লী এলাকায় আগুন দেখা গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে এমন কিছু ছবি দেখানো হয়েছে, যা দেখে মনে হয়েছে একটি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বা ইন্টারসেপ্টরের অংশবিশেষ মধ্যাঞ্চলের শহর মোদিনের একটি ট্রেন স্টেশনের এস্কেলেটরের ওপর পড়েছে।
জুলাই মাসে ইরানে নির্মিত ড্রোন ব্যবহার করে হুথিরা তেল আবিবে হামলা চালায়। এতে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হন। পাল্টা জবাবে ইসরায়েল ইয়েমেনে হুথি অধিকৃত এলাকায় বেশ কয়েকদফা বিমান হামলা চালায়।
এসব হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল হুথিদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বন্দর নগরী হোদেইদাহ।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবারের হামলার পর একটি ক্যাবিনেট বৈঠক শেষে দেওয়া মন্তব্যে একই ধরনের পাল্টা জবাব দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
“হুথিদের এতদিনে জেনে যাওয়া উচিত যে কেউ আমাদের ক্ষতি করার কোনো উদ্যোগ হাতে নিলে তাকে সেজন্য চরম মূল্য দিতে হয়”, বলেন তিনি। “কাউকে যদি বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি তাদেরকে হোদেইদাহ বন্দর পরিদর্শন করার আমন্ত্রণ জানাই”।