ভারতে পৌঁছলেন শেখ হাসিনা। সংবাদমাধ্যমের একটি সূত্র বলছে, আগরতলায় অবতরণ করেছে তাঁর কপ্টার। যদিও এই নিয়ে জল্পনা রয়েছে। তাঁর ছেলে জয় থাকেন আমেরিকা। মেয়ে থাকেন দিল্লিতে। মনে করা হচ্ছে, দিল্লিতেই যাবেন তিনি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, একসাথে কাজ করি। দয় করে সাহায্য করেন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত হোন। সবাই মিলে সুন্দর দেশ গড়েছি।’
কোন কোন রাজনৈতিক দল সঙ্গে বৈঠক করেছেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। শিক্ষক আফিস নজরুল ও জোনায়েদ সাকিও বৈঠকে ছিলেন। তিনি বলেন, ছাত্রদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। ছাত্ররা শিক্ষক আসিফ নজরুলকে শ্রদ্ধা করেন। তাঁকে অনুরোধ করেছেন যোগাযোগ করতে। ইতিমধ্যে আসিফ নজরুল একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা এখন বঙ্গবভনে যাব। সেখানে অন্তবর্তী সরকার গঠনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তিনি ছাত্রদের শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন।
শেখা হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ। গত মাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে সেই পরিস্থিতি থিতু হয়। কিন্তু শনিবার থেকে আবার শুরু হয় বিক্ষোভ। পথে নামেন পড়ুয়া-সহ সাধারণ মানুষ। রবিবার সেই বিক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পায়। জারি করা হয় কার্ফু। বন্ধ করা হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রায় এক দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার বাংলাদেশে চালু হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা।