Bangladesh: Chinmoy Denied Bail in Sedition Case, Remains in Chittagong Jail for Another Month

Bangladesh: রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত চিন্ময়ের জামিন হল না, আরও এক মাস চট্টগ্রামের জেলে

বাংলাদেশের আদালতে মঞ্জুর হল না ইসকনের সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর জামিন (Chinmoy denied bail)। বস্তুত, তাঁর হয়ে কোনও আইনজীবীই দাঁড়াতে পারেননি এই দিন। ফলে কোনও সওয়াল-জবাবেরই সুযোগ মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে জামিন খারিজ করে দেন বিচারপতি।

চট্টগ্রামের এক স্থানীয় বিএনপি নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেফতার করে চিন্ময়কৃষ্ণকে। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় (Sedition case Bangladesh)ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চত্বর থেকে প্রথমে তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে পেশ করা হয় সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণকে। কিন্তু জামিনের আর্জি মঞ্জুর হয়নি। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় চট্টগ্রামের আদালত(Chittagong )। সে দিন তাঁকে আদালত চত্বর থেকে প্রিজ়ন ভ্যানে তোলার সময় বিক্ষোভ দেখান চিন্ময়কৃষ্ণের অনুগামীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার ফের চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আজ এই জামিনের মামলা আদালতে ওঠার ঠিক আগের রাতেই আবারও একটি নতুন মামলা রুজু হয়েছে সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে। এবারও জামিন অযোগ্য ধারাতেই মামলা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস-সহ মোট ৭১ জনের বিরুদ্ধে।জানা গেছে, সোমবার স্থানীয় এনামুল হক চৌধুরী নামে একাধিক ব্যক্তি চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় এই নতুন মামলা করেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে।

মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণর জামিনের শুনানি যে ভেস্তে যেতে পারে, সে নিয়ে সংশয় আগে থেকেই ছিল। কারণ সোমবার রাত পর্যন্ত চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে জামিনের আবেদন করতে চট্টগ্রামের কোনও আইনজীবী পাওয়া যায়নি। ঢাকা থেকে একজন আইনজীবীর মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম আদালতে আসার কথা ছিল, যিনি চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন চেয়ে লড়াই করবেন। তার আগে হিন্দু আইনজীবীদের তরফে বিচারকের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনও করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল এবং দাবি করা হয়েছিল তাঁরা যাতে সাধুর জামিনের আবেদনের শুনানিতে থাকতে পারেন।