এ বার বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কুলের বই থেকে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের জীবনী, তাঁকে নিয়ে লেখা একটি পদ্য এবং তিনটি গদ্য বাদ দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় শ্রেণির একটি বই থেকে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী। মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে রাসেলকে নিয়ে লেখা একটি ইংরেজি গদ্যও বাদ গিয়েছে পাঠ্যসূচি থেকে।
২০১২ সালে প্রণীত পুরনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন শিক্ষাক্রম কার্যত বাতিল করে দেয়। এরপর পুরনো শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে বই ছাপানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে পিঁপড়া ও পায়রার গল্প যুক্ত করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও ৭ মার্চের ভাষণের অংশ বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত অধ্যায় শুরু হচ্ছে ২৫ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ দিয়ে।
দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে কাজী নজরুল ইসলামের ওপর লেখা ‘দুখু মিয়ার জীবন’ যুক্ত হয়েছে, বাদ পড়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা ‘সোনার ছেলে’। তৃতীয় শ্রেণির বইয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছেলেবেলা’ যোগ করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা ‘সেই সাহসী ছেলে’ অধ্যায়টি সরিয়ে জাতীয় চার নেতার জীবনী রাখা হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির বইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘মুজিব মানে মুক্তি’ বাদ দিয়ে রজনীকান্ত সেনের ‘স্বাধীনতার সুখ’ সংযোজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নতুন করে নোট ছাপছে বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক। আর সেখানে নেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও। চলতি বছরই বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কুর্সি ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। যার প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস।