হিংসার আবহেই বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা নিয়ে বঙ্গভবনে শুরু হল বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে বৈষম্য বিরোছী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বাংলা দেশের সেনার তিন বাহিনীর প্রধান।আন্দোলনকারীদের তরফে ছাত্র নেতা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, বৈঠকে তাঁরা একাধিক দাবিদাওয়া রেখেছেন। বৈঠক শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ১৩ জন সদস্যের একটি দল বৈঠক করছে। বৈঠকে রয়েছেন তিন বাহিনীর প্রধান। পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যপক তানজীমউদ্দিন।
সূত্রের খবর, বৈঠকে আন্দোলনকারীদের তরফে একাধিক প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকারের মেয়াদ তিন বছরের পরিবর্তে ৬ বছর করতে হবে এবং মেয়াদ শেষের তিন মাস আগে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। একই সঙ্গে সেনা বাদে বাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন প্রধানদের অবসরে পাঠাতে হবে। আগের নির্বাচন কমিশন ভেঙে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, প্রধান বিচারপতি সহ ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারপতিদের অপসারণ করতে হবে।
এমনকী হাসিনা সরকারের আমলে যাঁদের সরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তা অবিলম্বে বাতিল করার দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ছাত্র, নাগরিক হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হামলায় নিহত, আহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একই সঙ্গে জুলাই মাসকে জাতীয় শোকের মাস হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
হাসিনার সময়কালে অর্থাৎ গত ১৫ বছর ধরে হয়ে চলা প্রতিটির দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত করে জড়িতদের কঠোরতম শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এখন দেখার বৈঠক থেকে কী সূত্র মেলে।