সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন ঘিরে আবার উত্তাল হল বাংলাদেশ। আন্দোলনকারীদের যৌথমঞ্চ, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর পূর্বঘোষিত মিছিল কর্মসূচি ঘিরে এ বার রক্তাক্ত কুমিল্লা শহর।
বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানাচ্ছে, শনিবার কুমিল্লা শহরে কোটা সংস্কারপন্থী পড়ুয়াদের মিছিলে গুলি চালিয়েছে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় অন্তত ৭ জন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শাসকদল আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগ এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীরা হলেন আরফান মজুমদার (১৬), সৌরভ (২৫), মারুফ (১৬), আসিফ (১১), মৃদুল (১২), সুজন (১৩) ও সানি (১৮)। তাঁদের মধ্যে সৌরভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর অন্যদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, সৌরভের চোখের আঘাত গুরুতর। তাঁকে ঢাকায় চক্ষু ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
⚠️⚠️ EMERGENCY COMILLA ⚠️⚠️
🚨🚨🚨 Emergency situation in Comilla. Police, BGB and Army are firing towards unarmed students. They’re targeting the girls!! Fascism at it’s peak. Bangladesh is now a battleground. Pray for our brothers and sisters.
STEP DOWN FASCIST HASINA pic.twitter.com/xMOWxcVmJ9
— Premiumerza 🇧🇩🇦🇷 (@PREMIUMERZA) August 3, 2024
মাঝে ক’দিন শান্ত থাকার পর শুক্রবার থেকে ফের অশান্তি ছড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশে। শুক্রবার দু’জন মারা গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় ঘোষণা করলেও ন’দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা আগে ঘোষণা করেছিল ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। কিন্তু শনিবার দেশব্যাপী গণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনকারীরা। সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাহিদ ইসলাম মাইকে সমবেত মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘শুধু শেখ হাসিনা নন, মন্ত্রিসভাসহ পুরো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে৷ এই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে৷ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনো কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে৷’