ভারতে পৌঁছে গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানা। হাসিনা সোমবার দুপুরের পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার আগরতলায় এসে নামেন। বাংলাদেশের নিকটবর্তী শহর হল আগরতলা।
সূত্রের দাবি, হাসিনা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে বিমান পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারত কোনও বিমান পাঠাতে পারে না। কারণ, তাতে আইন লঙ্ঘিত হতে পারে। ভারত থেকে জানানো হয়, হাসিনাকে আগে ভারতে পৌঁছতে হবে। তার পর সেখান থেকে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। কপ্টারে ঢাকা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাওয়া যায় না।
VIDEO | Visuals of Sheikh Hasina leaving Bangladesh in a helicopter shortly after resigning as PM, amid massive protests against her government that has killed more than 106 people since Sunday. pic.twitter.com/s64om4nhI7
— Press Trust of India (@PTI_News) August 5, 2024
এ ক্ষেত্রে তাঁর নিকটবর্তী অবতরণ স্থান হতে পারে ত্রিপুরার আগরতলা বিমানবন্দর। তার পর সেখান থেকে তাঁকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে খবর। ভারতে পা রাখার পরই তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লির গাজিয়াবাদে সেনাবাহিনীর হিন্ডন এয়ারবাসে স্থানীয় সময় ৫টা ৩৬ মিনিটে অবতরণ করে শেখ হাসিনার বিমান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান। তাঁকে এই মুহূর্তে অজ্ঞাত সেফ হাউসে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি ছিল— হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। রবিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছিল। সোমবার হাসিনা পদত্যাগ করলেন। একটি সূত্রের উল্লেখ করে খবরে বলা হয়, তার আগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয় ইস্তফা দেওয়ার জন্য। ৪৫ মিনিট সময় তাঁকে দেওয়া হয়েছিল বলে একটি সূত্রের দাবি। তবে অন্য একাধিক সূত্রের দাবি, পুরো বিষয়টিই হয়েছে সেনাবাহিনী এবং দিল্লির সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে। তার পরেই হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন।