Bangladesh: Tension grips Bangladesh as protesters demand removal of President over comments on Hasina's resignation

Bangladesh: ‘হাসিনার বন্ধু’ সাহাবুদ্দিনকে সরানোর দাবি, রাষ্ট্রপতি ভবনে আছড়ে পড়ল জনরোষ।

পদত্যাগ করতে হবে ‘হাসিনার বন্ধু’ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকেও। এই দাবিতে মঙ্গলবার থেকেই সরব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পরে রাতে তাঁরা বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সংঘর্ষে অন্তত ৫ জনের আহত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে।

তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত, হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়েছেন। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনেরও আড়াই মাসের অধিক সময় পার হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, হাসিনার পদত্যাগের কোনও প্রামাণ্য নথি তাঁর হাতে নেই। সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের একাংশ উষ্মাপ্রকাশ করেছেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ করছেন। রাষ্ট্রপতির এই ধরনের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ আসিফ বলেন, “এটি তাঁর (রাষ্ট্রপতির) শপথ লঙ্ঘনের শামিল।”

এত দিন পর রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যকে ‘স্ববিরোধী’ বলেও কটাক্ষ করেছেন আইন উপদেষ্টা। রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রচ্ছন্ন ‘হুমকি’-ও দিয়ে রেখেছেন তিনি। আসিফ বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যদি আপনার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা না থাকে, বা যদি কোনও গুরুতর অসদাচারণ করেন— সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি পদে আপনি থাকতে পারেন কি না, তা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।”

কেন রাষ্ট্রপতির মন্তব্যকে ‘স্ববিরোধী’ বলছে অন্তর্বর্তী সরকার? তার আভাস পাওয়া যেতে পারে ৫ অগস্ট জাতীয় উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর তিনি সেই ভাষণ দিয়েছিলেন। সাহাবুদ্দিন নিজেই সেই দিনের ভাষণে জানিয়েছিলেন, হাসিনা তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন। সেই মন্তব্যের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর এসে তিনি সাক্ষাৎকারে জানালেন, হাসিনার পদত্যাগের কোনও প্রামাণ্য নথি তাঁর হাতে নেই। তিনি কেবলই শুনেছেন যে হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।

এরপরেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তদের মধ্যেও।রাষ্ট্রপতির পদত্যাগই কেবল নয়, মোট পাঁচ দফা দাবি রয়েছে আন্দোলনকারীদের। যার মধ্যে রয়েছে সংবিধান বাতিল কিংবা আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করার মতো দাবি। সেই সঙ্গে আরও দাবি, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল তা বেআইনি বলে ঘোষণা করতে হবে এবং যে প্রতিনিধিরা এই নির্বাচনে জিতে সংসদের সদস্য হয়েছেন তাঁদের সদস্যপদও বাতিল বলে ঘোষণা করতে হবে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই নতুন করে উত্তপ্ত ঢাকা। যার কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ‘বঙ্গভবন’।