Attack on protesters: Three dead Awami League leaders among the accused

Awami League: কবর থেকে উঠে এসে হামলা! মৃত আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে মামলা

 

কবর থেকে বেরিয়ে হামলা চালিয়ে আবার স্বস্থানে প্রবেশ! ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাংলাদেশে হৈ হৈ পড়ে গিয়েছে। গত আগস্টে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে ৩ মৃত আওয়ামী লিগ নেতার বিরুদ্ধে। মৃত বলে কি ছাড় পেয়ে যাবে? তা তো হতে দেওয়া যায় না। তাই ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এমরান হোসেন কুমিল্লার ৩ মৃত আওয়ামী লিগ নেতার বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের করেছেন। ছাত্রনেতার এমন কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছেন নেট নাগরিকরা। তাঁরা ছাত্র আ¨োলনের সমন্বয়ককেই গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।

প্রবল ছাত্র আন্দোলনের চাপে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে এখন ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শাসনভার নিয়েছে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার জমানার মন্ত্রী, সাংসদ-সহ আওয়ামী লিগ নেতা কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার শুরু হয়েছে। এমনকী সাংবাদিক থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনদের বিরুদ্ধেও মামলা শুরু হয়েছে।
মানুষ প্রকাশ্যে হামলা চালাচ্ছেন, এমন কথা শুনেছেন কী কখনওÚ বাংলাদেশে গত অগস্ট মাসে নাকি শেখ হাসিনাকে উচ্ছেদ মামলায় তেমনটাই ঘটেছে। কবর থেকে উঠে এসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নাকি হামলা চালিয়েছেন কুমিল্লার তিন মৃত আওয়ামী লীগ নেতা। অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন কুমিল্লার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এমরান হোসেন। গত বুধবার এ বিষয়ে মামলাও দায়ের করেছেন। আর ওই মামলার খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমন কীর্তি গড়ার জন্য অনেক নেটা নাগরিকরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ককেই গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লিগের প্রাক্তন কৃষিবিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দিন মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লিগের প্রাক্তন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মমিন এবং উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়ন আওয়ামী লিগের সহসভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওরফে ফরিদ। এদের মধ্যে কামাল উদ্দিন মজুমদার ২০২৩ সালের ১১ জুলাই মারা গিয়েছেন। চলতি বছরের ২৪ জুন ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আবদুল মমিনের। আর ওয়াহিদুর রহমান গত বছরের সেপ্টেম্বরে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এমরান হোসেন গত ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময়ে বিক্ষোভকারীদের উপরে হামলার ঘটনায় ৯৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলায় ২৭, ৩৩ ও ৫৫ নম্বর আসামি হিসেবে যে তিনজন আওয়ামী লিগ নেতার নাম দেওয়া হয়েছে, তাঁরা মৃত
বাবার নামে মামলা দায়ের হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রয়াত আবদুল মমিনের ছেলে আবু সাঈদ। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার বাবা কবর থেকে হামলা করেছেন, জেনে অবাক হয়েছি। তিনি তো জুনেই মারা গিয়েছেন। তাহলে তিনি কী করে ৪ অগস্টের হামলার ঘটনায় মামলার আসামি হতে পারেন? পরিবারকে অকারণ হয়রানি ছাড়া এ আর কিছু নয়।’ বাকি দুই মৃত আওয়ামী লিগ নেতার পরিজনরা এই ঘটনায় যারপরনাই বিরক্ত।