প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্য়চিত্রকে পূর্ণ সমর্থন করছে আমেরিকা। নিন্দা করছে এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শন বন্ধ করতে সরকার গৃহীত পদক্ষেপকে। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মাইক পেন্স বলেন, আমেরিকা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর। আমেরিকার গুরুত্ব দেয় সব ধর্মের সমানাধিকারকে। একটি দেশের গণতান্ত্রিক ভিত মজবুত করতে বাক স্বাধীনতা এবং সব ধর্মের সমানাধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে বিবিসি একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে। সংবাদমাধ্য়মে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত সরকার ওই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমেরিকা এই নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করে না। মার্কিন প্রশাসন মনে করে এবং বিশ্বাস করে সময় হয়েছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়ার।
‘ইন্ডিয়া দ্য মোদী কোশ্চেন’ BBC-র এই তথ্যচিত্রের সিরিজের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে ভারত। ২০০২ সালের গুজরাট প্রসঙ্গে তৈরি তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “ভারত এই তথ্যচিত্রটিকে অপপ্রচার বলে মনে করে। এই তথ্যচিত্রের কোনো বস্তুনিষ্ঠতা নেই। এটি পক্ষপাতদুষ্ট। ভারতে এই তথ্যচিত্র দেখানো হয়নি।” এই তথ্যচিত্র নিয়ে বেশি জবাব দিয়ে এর গুরুত্বও বাড়ানোরও ইচ্ছা নেই বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। তথ্যচিত্রের বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক বলেন, তাঁরা কোনও হিংসাকে সমর্থন করেন না। গুজরাট প্রসঙ্গে আগেই ব্রিটেন সরকার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তবে নরেন্দ্র মোদীর চরিত্রায়নের সঙ্গে তিনি একমত নন। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্রের ভারতে প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। ইউটিউব এবং টুইটার থেকে লিঙ্ক ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।