নেপালের সুপ্রিম কোর্ট বুধবার তাঁর মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করেছিল। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার ‘বিকিনি কিলার’ (Bikini Killer) চার্লস শোভরাজকে মুক্তি দিল সে দেশের সরকার। প্রায় ১৯ বছর পরে কাঠমান্ডু জেল থেকে বেরোলেন একাধিক খুন, ধর্ষণ, লুটের ঘটনায় দোষী ৭৮ বছরের ফরাসি নাগরিক।
১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতে দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল নেপালের আদালত। ২০০৩ সালে শোভরাজ নেপালে ফিরে আসে ফ্রান্স থেকে। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর থেকে প্রায় ১৯ বছর ধরে জেলে ছিল সে। এরপর সে মুক্তির আবেদন করলে গত বুধবার তার আবেদন মঞ্জুর হয় নেপালের সর্বোচ্চ আদালতে। তবে মুক্তির ১৫ দিনের মধ্যেই শোভরাজকে ফ্রান্সে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তার বয়সের কথা বিবেচনা করে নেপালের সর্বোচ্চ আদালত তাকে মেয়াদের আগেই ছেড়ে দেওয়ার রায় দেয়। রায়তে উল্লেখ করা হয় যে শোভরাজের হার্ট সার্জারি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE VIDEO: ইমরান খানকে টার্গেট করে গুলির বৃষ্টি! দেখুন হাড়হিম মুহূর্ত
আজ শোভরাজ কাঠমান্ডু জেলের বাইরে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠে। গাড়িতে করে তাকে অজ্ঞাত গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, শোভরাজের হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের রায়তেও তার হৃদরোগের উল্লেখ ছিল। তবে নেপালেই তার অস্ত্রপচার হবে কি না, বা কবে শোভরাজ নেপাল ছেড়ে যাবে, তা নিয়ে এখও নির্দিষ্ট জবাব মেলেনি।
সত্তরের দশকে প্রায় ২০ জনকে খুন করেছিলেন শোভরাজ। বিশেষত, পশ্চিমের হিপি পর্যটকদের শিকার করতেন এই ঘাতক। তাঁর শিকারের মধ্যে দু’জনের পরনে ছিল বিকিনি। সেই থেকেই শোভরাজ ‘বিকিনি কিলার’ নামে পরিচিত হন। তবে শুধু ‘বিকিনি কিলার’ নন। আরও একাধিক উপমা দেওয়া হয়েছে শোভরাজকে। তাঁকে ‘দ্য সারপেন্ট’ নামেও ডাকা হয়। অপরাধের পর সরীসৃপের মতো মসৃণ পথে পালানোর কায়দায় পটু ছিলেন শোভরাজ।
আরও পড়ুন: Spinach: পালং শাক খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৯, দেশজুড়ে জারি সতর্কতা