আমেরিকায় (America)। আছড়ে পড়েছে বম্ব সাইক্লোন (Bomb Cyclone)। বইছে হিমশীতল তুষারঝড়।
পারদ নেমে যাচ্ছে মাইনাস ১১ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। স্কুল-কলেজ বন্ধ। অফিস-কারখানায় তালা পড়ে গিয়েছে। ক্রিসমাস ইভে (Christmas Eve) এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমেরিকায় (America)।
শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মন্টানায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ। ঘরের বাইরে বেরনো তো দুর অস্ত, সামান্য জানলার পাল্লা খুললেই ফ্রস্ট বাইটের (Frost Byte) শিকার হচ্ছেন মার্কিন নাগরিকরা। আমেরিকার আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি আমেরিকা তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ২০ কোটি মানুষ এই বম্ব সাইক্লোনের প্রভাবে ভুগছেন। এটাই সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহ তুষারঝড়। জারি করা হয়েছে একাধিক সতর্কীকরণ।
আরও পড়ুন: Air Crash : মাঝ আকাশে দুটি বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ছ’জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ দফতর জানাচ্ছে, ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সাক্ষী গোটা দেশ। টিনেস ভ্যালিতে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা। তা কার্যত স্তব্ধ। আটলান্টাতে হাজার হাজার মানুষ গৃহবন্দি। জর্জিয়াতে লাগাতার হিমশীতল বায়ু বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তুষারঝড়ের জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার বিমান রাতারাতি বাতিল করা হয়েছে।
কী এই বম্ব সাইক্লোন?
অত্যধিক শীতল আর্কটিক বাতাস তুষারঝড় আকারে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আমেরিকায় (America)। দ্রুতগতিতে আসা এই তুষার ঝড় ঘড়ির কাটা অনুযায়ী নয়, ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুরবে। চলতি সপ্তাহ জুড়েই এই তুষারঝড় বইবে। বড়দিনের আগে জমে বরফ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহর। আমেরিকার আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতি ঘণ্টায় এক মিলিবার বায়ুচাপ থাকবে এই বম্ব সাইক্লোনে। যত বায়ুচাপ কমবে ততই এই ঝড়ের দাপট এবং ভয়াবহতা বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের চাপ অনুযায়ী এই ঝড়ের গতিপ্রকৃতি বদলাবে।
আরও পড়ুন: Charles Sobhraj: ফ্রান্সের উদ্দেশে পাড়ি দিল ‘বিকিনি কিলার’ চার্লস শোভরাজ, প্রকাশ্যে প্রথম ছবি