শনিবার উদ্বোধন হয়ে গেল পদ্মা সেতুর। রবিবার ২৬ জুন এই সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকারের সেতু দফতর থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হল। গত ২৩ জুন, বৃহস্পতিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
নির্দেশগুলো হল—
১। পদ্মা সেতুতে অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।
২। পদ্মা সেতুর ওপর যে কোনও ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো এবং যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা বা হাঁটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
৩। তিন চাকা বিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি), পায়ে হেঁটে, সাইকেল বা নন-মোটোরাইজড গাড়িযোগে সেতু পার হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: Bangladesh Flood: জলের নিচে প্রায় গোটা সিলেট, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা
৪। গাড়ির বডির চেয়ে বেশি চওড়া ও ৫.৭ মিটারের চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতু দিয়ে পার করা যাবে না।
৫। সেতুর ওপর ময়লা ফেলা যাবে না।
এই নির্দেশিকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এই সেতু বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। সেই কারণে সেতুর নিরাপত্তার স্বার্থে এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানানো উচিত। কিন্তু অনেকেই সেতুর উপর দিয়ে হাঁটা বা ছবি তোলার আনন্দ উপভোগ করতে না পারার জন্য হতাশ। পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন পার হবে এ সেতু দিয়ে। এতে উপকারভোগী হবেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার তিন কোটি মানুষ।
আরও পড়ুন: Padma Bridge: পদ্মা সেতুর ৪২ স্তম্ভ স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি: শেখ হাসিনা