Canada stays an Indian student's deportation

Canada: জালিয়াতি করে কলেজে ভর্তির চেষ্টা! ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়া বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডায় গিয়ে বিপাকে ৭০০-র বেশি ভারতীয় পড়ুয়া। দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরাতে চিঠি ধরাল জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন। এই পড়ুয়াদের অধিকাংশই পঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, জলন্ধরের এক এজেন্টের মাধ্যমে কানাডা পৌঁছন ওই ৭০০ পড়ুয়া। সেখানেই তাঁদের নথি পরীক্ষা করা হয়। তখনই বেরিয়ে আসে আসল সত্যি। এই ভারতীয় পড়ুয়াদের কাছে কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ভুয়ো নথি মেলে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের দেশে ফিরে যেতে বলা হয়।

বিষয়টি বোঝার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়াদের ওই দল। গোটা ঘটনার পিছনে জলন্ধরের ওই এজেন্ট রয়েছেন বলে দাবি করেন তাঁরা।

শুধু তাই নয়, টরেন্টোতে কানাডার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা Canadian Border Security Agency (CBSA)-র দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান ভারতীয় পড়ুয়ারা। চলতি বছরের ২৯ মে থেকে এই বিক্ষোভ লাগাতার চলছে বলে জানা গিয়েছে।

টরেন্টোর পাশাপাশি অন্টারিওতেও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে কানাডার অভিবাসন দফতরের মন্ত্রী সিন ফ্রেসারের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা। বিষয়টির সহজ সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

অবশেষে গোটা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। অবশেষে গোটা প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা প্রশাসন। মানবিকভাবে এই বিষয়টি বিচার করার জন্য কানাডাকে ধন্যবাদও জানিয়েছে ভারত।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। কানাডার ভারতীয় হাই কমিশনারকেও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বলা হয়। তারপরেই আপ সাংসদ বিক্রমজিৎ সিং সাহে জানান, কানাডা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ওয়ার্ল্ড পাঞ্জাবি অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর অনুরোধেই আপাতত এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে কানাডা। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।