নেপালের সুপ্রিম কোর্ট বুধবার বিকিনি কিলার হিসেবে কুখ্যাত চার্লস শোভরাজকে (Charles Sobhraj) মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শোভরাজকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার ৭৮ বছর বয়সের ভিত্তিতে। সে ২০০৩ সাল থেকে জেলে রয়েছেন। এখন তাকে ১৫ দিনের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। একসময়ের মোস্ট ওয়ান্টেড সিরিয়াল কিলারকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল তাঁর হাঁটুর বয়সী এক মেয়ে। নেপালি মেয়েটির নাম নিহিতা বিশ্বাস (Nihita Biswas)।
শোভরাজের জেলমুক্তির পর সামনে এসেছেন নিহিতা। শোভরাজকে ফ্রান্সে তাঁর পরিবারের কাছে পাঠানো হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন নেপালি কন্যা। তিনি বলেছেন, ‘‘নিরাপত্তার কারণে ফ্রান্সে ওর বাড়িতে ওকে পাঠানোর চেষ্টা করছি। হৃদ্যন্ত্রের অস্ত্রোপচার পর ওর কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। ওর আরও একটা অস্ত্রোপচার করা হতে পারে। ওর শরীর আর পরিবার এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ।’’
আরও পড়ুন: Maldives : মালদ্বীপে ইমিগ্রেশন কোয়ার্টারে আগুন, নিহত ৯ ভারতীয়, এক বাংলাদেশী
শোভরাজের আইনজীবী ছিলেন নিহিতার মা শকুন্তলা থাপা। দোভাষী হিসাবে জেলে গিয়েছিলেন নিহিতা। প্রথম দেখাতেই শোভরাজের প্রেমে পড়েন নিহিতা। মাত্র তিন মাসের আলাপেই ২০০৮ সালে শোভরাজের সঙ্গে নিহিতার বিয়ে হয়। জেলের মধ্যে গোপনে হিন্দু রীতি মেনে সেই বিয়ে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
পরে ভারতীয় টেলি দুনিয়ায় জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’-এর ৫ নম্বর সিজনে প্রতিযোগী হিসাবে অংশ নিয়েছিলেন নিহিতা। কিন্তু তার পর থেকে কার্যত লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন তিনি। তিনি কোথায় রয়েছেন, এ নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। অবশেষে শোভরাজের জেলমুক্তির দিনই প্রকাশ্যে এলেন নিহিতা।
Nepal | We're trying to send him back to his family in France by evening for security reasons. After heart surgery, he had some issues. He might need another surgery. Health & family are priorities for him now: Nihita Biswas, Charles Sobhraj's wife, on his release from jail pic.twitter.com/KGtblEjl9s
— ANI (@ANI) December 23, 2022
একাধিক ভাষায় পারদর্শী শোভরাজ তার সুদর্শন চেহারা এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগাতেন ‘শিকার’কে বাগে আনতে। একাধিক বার জেল থেকে পালানোর অভিযোগও উঠেছে শোভরাজের বিরুদ্ধে। ১৯৮৬ সালে তিহাড় থেকেও পালিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন পরেই গোয়ার এক রেস্তরাঁ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৯৭ সালে ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন শোভরাজ। এর পর নেপালে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতে দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল নেপালের আদালত। পুলিশি জেরায় শোভরাজ ১২ জনকে খুনের কথা কবুল করেন বলে নেপাল পুলিশে দাবি। সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রায় দু’দশক জেলবন্দি শোভরাজের মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করে।
আরও পড়ুন: Bangladesh: বেলুন নেই, বিজয় দিবসে কন্ডোম দিয়ে সাজানো হল সরকারি হাসপাতাল